দুই বর্ধমানে পুজোর বাজারে ব্যাপক ভিড়, শপিং মল ও দোকানে দেদার কেনাকাটা
বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: পুজোর আগে রবিবার ছুটির দিনে বাজারে কার্যত জনজোয়ার নামল। বৃষ্টি হয়নি, রোদের তেজও মাত্রাতিরিক্ত ছিল না। সেকারণে পুজোর কেনাকাটায় মেতে উঠল দুই বর্ধমানের বাসিন্দারা। বর্ধমান থেকে আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে কাটোয়া বাজারে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জামাকাপড়ের দোকান থেকে জুতো, প্রসাধনীর দোকান ও স্বর্ণ বিপণিগুলিতে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। ভিড় সামাল দিতে দোকানের কর্মচারী থেকে পুলিস কর্মীরা নাজেহাল হন। এদিন সমুদ্রগড় হাটে এক কোটি টাকার বেশি কেনাকাটা হয়েছে। মহালয়ার আগে শেষ রবিবার ক্রেতাদের জনস্রোতে ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।
পুজো মণ্ডপগুলিতে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। এবারও পুজো শেষে জোড়া পুজো কার্নিভাল হবে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। শনিবার রাতে দুর্গাপুর পুরসভা হলে এনিয়ে বৈঠকে করেন পুলিস কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী, জেলাশাসক পোন্নমবলম এস। উপস্থিত ছিলেন এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত সহ শীর্ষ পদাধিকারিরা। এদিন আসানসোলের পুজো কার্নিভালের জন্য রাস্তা পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক, পুলিস কমিশনার, আসানসোলের মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বুধবার ভোরে মহালয়া। সেদিনই পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় পুজো মণ্ডপগুলি চতুর্থী, পঞ্চমী থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাচ্ছে। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তাই রবিবার চুটিয়ে বাজার করলেন সাধারণ মানুষ। এদিন আসানসোলের বাজার, শপিং মলে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। ভিড় ঠেলে এগনোই মুশকিল হয়ে যায়। ফুটপাতের উপরও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। একইরকম ভিড় ছিল বড় বস্ত্র বিপণিগুলিতে। আসানসোল বাজার, চিত্রামোড়, সৃষ্টিনগরের শপিং মলগুলিতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ব্যাপক ভিড় ছিল বার্নপুরের স্টেশন রোড, বাসস্ট্যান্ড সহ সব বাজারে। কুলটি, বরাকর বাজারেও এদিন ক্রেতাদের ঢল নামে। অণ্ডাল, রানিগঞ্জের এমজি রোড, সিআর রোড সহ সব বাজারেই কেনাকাটা করেছেন ক্রেতারা। ভিড়ে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নামী কাপড়ের দোকানে ঢুকতে গিয়ে মানুষকে কার্যত যুদ্ধ করতে হয়েছে। রবিবার ভিড় আরও বাড়ে। একইভাবে ভিড় দেখা গিয়েছে মামড়া বাজার, স্টেশনবাজারে। সিটি সেন্টারের শপিং মলগুলি জনসমুদ্রের আকার নেয়। পানাগড় বাজারেও সকাল থেকে ভিড় দেখা গিয়েছে। বিকেলের পর থেকে দোকানগুলি কার্যত ক্রেতাদের দখলে চলে গিয়েছে। মানুষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খান দোকানের কর্মচারী, মালিকরা। একইরকম ভিড় দেখা যায় বুদবুদ বাজারেও।
বর্ধমান শহরের বিসি রোডে প্রতিটি কাপড়ের দোকানে এদিন ঠাসা ভিড় ছিল। শহরের জুতোর দোকান, শপিং মলে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। ভিড় সামাল দিতে নাকাল হয় পুলিস। কালনা শহরের শপিংমল, চকবাজার, রাজস্কুল মাঠের মার্কেটে মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। মেমারি শহরেও একই চিত্র। ছোট বড় দোকান, শপিং মলগুলিতে পা রাখার জায়গা ছিল না। ভিড়ে রাস্তায় চলাই দায় হয়ে ওঠে। একইভাবে মন্তেশ্বর বাজার, কুসুমগ্রাম, মন্তেশ্বর গ্রামেও মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। এদিন ভিড় উপচে পড়েছিল সমুদ্রগড় হাটে। কাটোয়ার কাছারি রোড সহ বিভিন্ন জায়গায় দোকানে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। পূর্বস্থলীর পারুলিয়া বাজার, গুসকরা শহরেও কাপড় ও জুতোর দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ঢল নামে।