• পাঠভবনের পড়ুয়াদের বিজ্ঞান মডেল দেখে অবাক শিক্ষকরাও
    বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: রান্নার পর অন্যমনস্ক হয়ে গ্যাসের রেগুলেটর বন্ধ করতে ভুলে গেলে কী ভয়ংকর বিপদ হতে পারে তা সকলেরই জানা। ছাদে কাপড় শুকোতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দফারফা হয় অনেকের। ‌জনজীবনে এগুলো সাধারণ সমস্যা। এরকম নানাবিধ সমস্যার সমাধানের রাস্তা দেখালেন পাঠভবনের খুদে বিজ্ঞানীরা। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী পাঠভবন আয়োজিত এবারের বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে এই ধরনের চমকপ্রদ আবিষ্কার করে তাক লাগালেন খুদে পড়ুয়ারা। শিশুদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে প্রতিবছর বিদ্যালয়টি এই উদ্যোগ নেয়। ‌এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। ‌খুদেদের আবিষ্কার ও ভাবনা শিক্ষকদেরও অবাক করেছে। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিনহা বলেন, বিজ্ঞান সচেতনতার জন্যই এই উদ্যোগ প্রতিবছর নেওয়া হয়। এছাড়া বিতর্কসভারও আয়োজন করা হয়েছিল। পড়ুয়ারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় আমাদের এই কর্মকাণ্ড সর্বাঙ্গীন সুন্দর হয়েছে।


    শিল্প ও সংস্কৃতির পীঠস্থান বলতে সবার আগে কবিগুরুর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর নাম সামনে আসে। ভাষা, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে নিরন্তর গবেষণা হয়ে আসছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার শুরু শিশু বিভাগ থেকে। ছাত্রছাত্রীদের পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি সর্বাঙ্গীণ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই লক্ষ্যে এখনও অবিচল


    বিশ্বভারতীর শতাব্দী প্রাচীন দুই বিদ্যালয় পাঠভবন ও শিক্ষাসত্র। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি সারাবছর ধরে নানারকম কর্মকাণ্ডে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে মূলত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করলেও ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির একজন করে পড়ুয়া এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর মোট ৫৪ জন পড়ুয়া তাদের বিজ্ঞানের মডেল প্রদর্শন করেছিল। তাদের মধ্যে দশম শ্রেণির সুপ্রীতি ঘোষ টার্বাইন, একই শ্রেণির শাওলিন মণ্ডল তৈরি করেছে প্রকৃতি থেকে অ্যাসিড ও ক্ষার চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া। এছাড়া, নবম শ্রেণির প্রজ্জ্বলকুমার মণ্ডল জল অপচয় রুখতে ট্যাঙ্কের সেন্সর অটোমেটিক পাম্প তৈরি করে তাক লাগিয়েছে। ছাদে কাপড় মেলে কোথাও বেরিয়ে গেলেও তা যাতে বৃষ্টিতে না ভেজে, সেজন্য ‘রেন ডিটেক্টর অ্যান্ড ক্লথ প্রটেক্টর’ তৈরি করেছে অষ্টম শ্রেণির সাগ্নিক পাল। তবে ‘এলপিজি গ্যাস ডিটেকশন সিস্টেম’ তৈরি করে সকলের নজর কেড়েছে নবম শ্রেণির তিয়াসা মণ্ডল ও রক্তিম পাল। রান্না করতে গিয়ে কেউ গ্যাসের নব বন্ধ করতে ভুলে গেলে অ্যালার্ম বাজিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দেবে তাদের এই যন্ত্র। এছাড়া, অষ্টম শ্রেণির ঐশী মজুমদার, অমর্ত্য দাস, নবম শ্রেণির সৃজনী রায়, আমান সাদাফ, দশম শ্রেণির অমৃতা সরকার, শ্রেয়া 


    দাসের মডেল সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)