টাঙনে জল বাড়তেই আতঙ্ক উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের দুই ব্লকে
বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ ও গঙ্গারামপুর: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গ। একটানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙন নদী। ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। নদী থেকে দূরে থাকতে শুরু হয়েছে প্রচার। বৃষ্টি আরও বাড়লে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ওই অঞ্চলের মানুষজন।
রবিবার রাধিকাপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরন্ময় সরকার ও বিডিও প্রশান্ত রায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি বলরামপুর এলাকায় টাঙনের জলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ রাস্তা পরিদর্শন করেন কুশমণ্ডির বিডিও নয়না দে, কুশমণ্ডি থানার পুলিস। কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরন্ময় বলেন, এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা টাঙন নদী সংলগ্ন এলাকায় নজর রাখছি।
ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুন্দনা, মালজুম, বাগচাঁ, চকদিলালাপুর, জগদল, মির্জাগড় এলাকায় নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাড়ি ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসন অবশ্য চারটি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করে রেখেছে। শুকনো খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও মজুত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিডিও বলেন,আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
এদিন সকালে হঠাৎ কুশমণ্ডির উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুরে নদী বাঁধে ধস নামার খবর চাউর হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুশমণ্ডি ব্লকের টিম। বলরামপুরে টাঙনের জল বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় স্থানীয় গ্রামীণ রাস্তা পর্যন্ত জল চলে আসে। সেই গ্রামীণ রাস্তার কিছু অংশে ধস নামে। বিডিও’র নির্দেশে তৎক্ষণাৎ ধসে যাওয়া রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেয় উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এর পর কান্দহ ফ্লাড সেন্টার পরিদর্শন করে তা তৈরি রাখা হয়েছে। স্থানীয় সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে ব্লক প্রশাসন। খোলা হয়েছে কুশমণ্ডি ব্লকের কন্ট্রোল রুম। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ব্লক প্রশাসন। জেলা সেচদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় বৃষ্টি না হলে টাঙন নদীর জল দ্রুত নামতে শুরু করবে।
কুশমণ্ডির বিডিও নয়না দে বলেন, কুশমণ্ডি বলরামপুর এলাকায় একটি গ্রামীণ রাস্তা নদীর জলে ধসে যায়। দ্রুত সেটির কাজ করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। ফ্লাড সেন্টার তৈরি রাখা হয়েছে। এখনও কুশমণ্ডি ব্লকে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।