টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছিলেন না, মহিলার পাশে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা
বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছিলেন না মা। সেকথা জানতে পেরে অসহায় মায়ের পাশে দাঁড়ালেন রায়গঞ্জ থানার টাউন ওসি ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।
ইটাহারের কমলাই এলাকার বাসিন্দা সুশীলা ঘোষ রক্তবমি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য বড় ছেলে পিন্টুকে শনিবার রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করেন। ডাক্তার বেশকিছু ওষুধ কিনে আনতে বললে সমস্যায় পড়েন সুশীলা। তিনি দেখেন সবমিলিয়ে প্রায় চার হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হবে। কিন্তু এতো টাকা না থাকায় কাছেই দাঁড়ানো রায়গঞ্জের বাসিন্দা মুকুট মজুমদারের দ্বারস্থ হন সুশীলা। মুকুট সাহায্যের জন্য রায়গঞ্জ থানার টাউন ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে জানালে তিনি ওই মহিলার পাশে দাঁড়ান।
মুকুট বলেন, ওই মহিলা আমাকে দেখে সাহায্য চাইলেও এতো টাকার ওষুধ কিনে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তখন টাউন ওসির দারস্থ হলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এরপরও বেশকিছু ওষুধ কেনার প্রয়োজন ছিল। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা চাঁদা তুলে সাহায্য করেন সুশীলাকে।
অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর পর অ্যাম্বুলেন্স চালক রাজেশ সরকার বলেন, আমরা খবর পাই ওই মহিলা ছেলের জন্য ওষুধ কিনতে পারছেন না। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর অ্যাম্বুলেন্স চালকরা চাঁদা তুলে মহিলার ছেলের চিকিত্সায় সাহায্য করেছি।
ছেলের জন্য ওষুধ পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন সুশীলা। তাঁর মন্তব্য, ছেলেকে দেখার পর বেশকিছু দামি ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ কিনে আনতে বলেছিলেন চিকিত্সক। স্বামী অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছেন। ছোট ছেলেও খুব সামান্য টাকা উপার্জন করে সংসার চালায়। বড় ছেলে বহুদিন অসুস্থ। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স চালক ও পুলিসের সাহায্যে এদিন ওষুধ কিনতে পেরেছি। প্রশাসন পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করলে অনেক উপকার হবে। (অসহায় মহিলাকে সাহায্য অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। - নিজস্ব চিত্র।)