• বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় জখম ২ শিশু, অবরোধ-বিক্ষোভে উত্তাল বারুইপুর
    বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: রবিবার বারুইপুর-বারাসত রুটের একটি বেসরকারি বাস যোগীবটতলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে বিদ্যুতের খুঁটিতে, তারপর সামনে থাকা একটি চারচাকার ছোট গাড়িতে ধাক্কা মারলে দুই শিশু আহত হয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা ওই বাসটি ভাঙচুর করেছে। তাঁরা কুলপি রোড অবরোধ করে অবিলম্বে রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানোরদোবি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মাস ছ’-সাত আগে এই যোগীবটতলায় বারুইপুর-বারাসত রুটের একটি বাসের ধাক্কায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল। এদিনও সেই একই জায়গায় দুর্ঘটনাটি হয়েছে। 


    বারুইপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। পরে বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় আরও বাহিনী নিয়ে এলাকায় যান। পুলিসের কাছে বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় দ্রুত স্পিড ব্রেকার বসাতে হবে প্রশাসনকে। পুলিস ওই দাবি মেনে বাম্পারের কাজ শুরু করলে আপত্তি জানায় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, দায়সারা ভাবে কাজ করলে হবে না। স্থায়ী পাকাপোক্ত স্পিড ব্রেকার বসাতে হবে। পরে আলোচনার পর পুলিস আশ্বাস দেয়, সোমবার এই কাজ করা হবে। এদিকে, এই অবরোধের জেরে বারুইপুর-কুলপি রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, আগে স্পিড ব্রেকার বসানো হলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর পূর্তদপ্তরকে পুলিস প্রশাসন থেকে বারংবার চিঠি দেওয়া হলেও সেই কাজ হয়নি। 


    জানা গিয়েছে, বাসন্তীর নফরগঞ্জের বাসিন্দা সমর বিশ্বাস এদিন গাড়িতে করে পরিবারকে নিয়ে যোগীবটতলায় এসেছিলেন। তাঁর গাড়ি কুলপি রোডের ধারেই দাঁড়া করানো ছিল। সমরবাবু বলেন, আমার স্ত্রীর পরীক্ষা ছিল, তাই এখানে এসেছিলাম। গাড়ি রাস্তার ধারে ছিল। গাড়িতে আমার ছেলে ও ভাইঝি ছিল। আচমকা বাসটি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে গাড়িতে। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যাই। ছেলে ১৩ বছরের অঙ্কিত বিশ্বাস ও ভাইঝি সাত বছরের দ্যুতি বিশ্বাস আহত হয়েছে। ঘাতক বাসের চালক ও কন্ডাক্টর পলাতক। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বারুইপুর-বারাসত রুটের বাস রাজপুরের পর থেকেই গতিতে বাড়িয়ে বারুইপুরের দিকে ছোটে। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই এলাকায় বাম্পার বসাতে হবে এবং ওই বাসচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিসকে।
  • Link to this news (বর্তমান)