• গান্ধী জয়ন্তীতে তৃণমূলের সর্বস্তরের কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন মমতা
    বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম দিবস। অন্যদিকে মহালয়া, দেবীপক্ষের সূচনা। এই পুণ্যলগ্নে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আগামীর বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন নজরুল মঞ্চে দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই মঞ্চ থেকেই জনপ্রতিনিধি ও দলীয় কর্মীদের দিক নির্দেশিকা দেবেন দলনেত্রী। এই পর্বেই আজ, সোমবার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের রাজ্যজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচির দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে রাজনীতির কারবারিরা। 


    আর জি করের ঘটনাকে সামনে রেখে দোষীর ফাঁসির দাবিতে গত ১৬ আগস্ট কলকাতার রাজপথে পদযাত্রা করেছিলেন মমতা। পদযাত্রা শেষে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে একটি সভাও করেন তিনি। এরপর ২৮ আগস্ট দলের ছাত্র শাখার কর্মসূচিতেও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে সুর চড়ান তিনি। এরপর থেকে ঘটনা প্রবাহ যেভাবে এগিয়েছে, তা নিয়ে রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে অনেক চর্চা-আলোচনা হয়েছে। এরই মধ্যে ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’ বিধানসভায় অনুমোদন করিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে বিরোধীরা রাত দখল, ধর্না, অবস্থান কর্মসূচির নামে আর জি করের ঘটনাকে ইস্যু করে রাজনীতি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শাসক দলের। এতদিন তৃণমূল বড় মাত্রায় কোনও কর্মসূচি নেয়নি। বিরোধীদের অভিযোগের তথ্য দিয়ে জবাব দিয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। 


    এই অবকাশে মহালয়ার দিন থেকেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যাচ্ছে। বছরের বাকি সময়ে একাধিক ধর্মীয় উৎসব-পার্বন রয়েছে। এই সময়টাতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য দলের নেতা, কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। উৎসবের সময়ে জনপ্রতিনিরা কী করবেন, তা আরও বিস্তারিতভাবে ২ অক্টোবর মমতা জানিয়ে দেবেন বলেই মনে করছে তৃণমূল শিবির। মমতা বরাবর বলে থাকেন, দেশের নেতা যিনি হবেন, তিনি মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো। যে বা যাঁরা বিভেদ তৈরি করেন, তারা কখনও দেশের নেতা হতে পারেন না। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২ অক্টোবর গান্ধিবাদী পথে হেঁটে মমতা যেমন বিজেপিকে নিশানা করবেন, অন্যদিকে দেবীপক্ষের সূচনায় দেবেন সামাজিক বার্তাও। উৎসব- পার্বন মিটে গেলে তৃণমূল লাগাতার কর্মসূচিতে নামছে। বিজয় সম্মিলনী থেকেই যাবতীয় কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, অঞ্চলে বিজয় সম্মিলনী করে প্রবীণ মানুষদের সংবর্ধনা এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ তৈরির কাজও শুরু করে দেবে তৃণমূল। ফলে সবদিক থেকে ২ অক্টোবর গুরুত্বপূর্ণ দিন হতে চলেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে। 


    তার আগে আজ, সোমবার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের তরফে মানববন্ধন কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যজুড়ে। কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডল থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা। রাজ্যজুড়ে ১৭৫ কিলোমিটার মানববন্ধন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা এগিয়ে চলেছে, সেই বার্তাটাই আজ তুলে ধরবে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।
  • Link to this news (বর্তমান)