• বকেয়া সম্পত্তি কর না মেটালে বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন নয়
    বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বকেয়া সম্পত্তি কর না মেটালে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন মিলবে না। সম্প্রতি এই নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এবং সম্পত্তি কর বিভাগকে যৌথভাবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এর ফলে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।


    চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত সার্বিকভাবে পুরসভার আয় অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। তাই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে ও গতি আনতে সম্প্রতি সম্পত্তি কর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায়, বিল্ডিং, জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, লাইসেন্স, পার্কিং সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পুর-কমিশনার ধবল জৈন। আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগের ফাঁকফোকরগুলি নিয়ে সেখানে পর্যালোচনা হয়। সেখানে বিশেষ করে সম্পত্তি কর এবং বিল্ডিং বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ে জোর দিতে বলা হয়। তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন কমিশনার। সেখানে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে কোনও বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের আবেদন জমা পড়লে তা আগে সম্পত্তি কর বিভাগকে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট জমি বা বাড়ির সম্পত্তি কর বকেয়া রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। বকেয়া না থাকলে অনুমোদন মিলবে। আর বকেয়া থাকলে আগে টাকা মেটাতে হবে। তারপর মিলবে অনুমোদন। 


    অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরনো সম্পত্তি হাতবদল হয়েছে। কিন্তু নতুন মালিক অনেক পরে জানতে পারছেন যে বিপুল টাকা কর বকেয়া পড়ে আছে সেই সম্পত্তির। তাই কেউ কোনও সম্পত্তি কেনার আগে বকেয়া করের বিষয়টি যাতে দেখে নিতে পারেন, তা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। এবার খালি জমিতে বা পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি বানাতে গেলে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনের আগেই বকেয়া করের বিষয়টি মিটিয়ে নিতে হবে। এক পুরকর্তা বলেন, ‘এতদিন বিল্ডিং প্ল্যান জমা দেওয়ার সময় একটি এনওসি নেওয়া হতো। কিন্তু সম্পত্তি কর বকেয়া থাকলে তা সেখানে বোঝা যেত না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হয়তো বিগত কয়েক মাসের সম্পত্তি কর মিটিয়েছেন। কিন্তু তাঁর অজান্তেই হয়তো কয়েক বছর আগের কর বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁকে আগে ওই বকেয়া মেটাতে হবে।’ আধিকারিকরা আরও জানাচ্ছেন, কোনও নাগরিক যদি সেই সম্পত্তির স্যাফ অর্থাৎ সেলফ অ্যাসেসমেন্ট (সম্পত্তি করের স্বমূল্যায়ন) না করান, সেক্ষেত্রে বাড়ি  তৈরির পর কমপ্লিশন সার্টিফিকেট (সিসি) পাওয়া যাবে না। আগে সম্পত্তির স্বমূল্যায়ন সারতে হবে। বাড়ি তৈরির পর ‘স্যাফ’ করেই নতুন হারে সম্পত্তি কর দিতে হবে পুরসভাকে।
  • Link to this news (বর্তমান)