• মার্কেটিংয়ের শেষ লগ্নে মা-মেয়ের পুজোর পছন্দ ‘সারারা’, নতুনত্বে ব্যাকফুটে ছেলেরা
    বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘ওমা দেখ দেখ! কী সুন্দর দেখতে। জ্যাকেট দেওয়া রে’—বলেই লাল গোল গোল প্রিন্টের হলুদ ‘সারারা’র উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন মহিলা। মায়ের উত্সাহ দেখে মেয়েও নেচে উঠল, ‘হ্যাঁ গো মা, ঠিক বলেছ। এটাই কিনব।’ শুরু হল দরদাম। ৩০০ টাকায় রফা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই মুখে হাসি। এ ছবি বড়বাজারের। মেয়েদের জন্য রাজস্থানি ঘরানার জ্যাকেট দেওয়া ‘সারারা’ ড্রেস এসেছে এবছর। সেটিই নাকি ফ্যাশনের কেন্দ্রে। আর ছেলেদের? নিউ মার্কেটে ঘুরে ঘুরে পায়ে ব্যথা মায়ের। হতাশ হয়ে বললেন, ‘সেই একই টি শার্ট আর থ্রি পিস। পরবেই না ছেলে।’


    এবার মেয়েদের জন্য নয়া ডিজাইনের পোশাক বেশি এসেছে। মার্কেটে ছেলেদের জন্য সব নাকি ওল্ড ফ্যাশানের জামা। ফলে শপিংয়ে মেয়েরা এগিয়ে। পিছিয়ে ছেলেরা। কিন্তু কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই কোনও পক্ষই। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের বাজারগুলি ভিড় থিকথিক দুপুর থেকেই। তবে মহালয়ার আগের শেষ রবিবার উত্তরকে কিছুটা টেক্কা দিল দক্ষিণের গড়িয়াহাট। ‘বিক্রি কেমন হচ্ছে?’ উত্তরে দোকানদারদের বক্তব্য, ‘আজ শুধু দেখে যান। সময় নেই। কাল কথা বলব।’ তাঁর অদূরে ঘামে ভিজে যাওয়া উর্দি গায়ে ট্রাফিক ওয়ার্ডেনরা যানবাহন আর ভিড় সামলে থই পাচ্ছেন না। ক্রেতারা বিস্তর জিনিস কিনে খুশি। আরও বেশি খুশি গড়িয়াহাটের বিক্রেতারা। 


    গড়িয়াহাট একা নয়। হাতিবাগান কিংবা নিউমার্কেটেও ভরদুপুর থেকেই ঠাসা ভিড়। কাঠফাটা রোদ। তা সত্ত্বেও ক্লান্তি নেই কারও। সেই শ্রীরামপুর থেকে পরিবারের সবার পোশাক কিনতে এসেছেন সুদীপ্তা মণ্ডল। বললেন, ‘জামাকাপড় কেনা আজকেই শেষ করতে হবে। এরপর ভিড় আরও বাড়বে।’ সোনারপুরের সৌভিক সরকার বললেন, ‘পুজোর বাজার নিউমার্কেট বা গড়িয়াহাটে না করলে ঠিক জমে না।’ হাতিবাগানেও ভিড়ের ঠেলায় হাঁটাচলা দায়। পোশাক থেকে কসমেটিক্স, কাপপ্লেট থেকে ইমিটেশনের গয়না, দরদাম চলছেই। বিক্রেতাদের হাঁকডাকে কান পাতা দায়। বাসে, অটোতে, ক্যাবে জায়গা নেই। হাতে একগাদা ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গলদঘর্ম অবস্থা সবার। আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। তারপর গোটা বছরের অপেক্ষার অবসান। মা আসছে। সেজেগুজে তৈরি থাকতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)