সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রবিবার সন্ধেয় প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই মিছিল থেকে স্লোগান উঠল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’। যাদবপুরে প্রতিবাদ মিছিল থেকে এমন ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে। এহেন ঘটনার প্রতিবাদে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি। তার আগে রবিবার সন্ধেয় পাড়ায় পাড়ায় মশাল মিছিলের ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার মোট সাত জায়গায় হয় এই মিছিল। যেগুলি হল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, সাগরদত্ত, আর জি কর এবং যাদবপুরের কেপিসি। এদিন যাদবপুরের এই মিছিলের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে, কেউ মোমবাতি তো কেউ হাতে মশাল নিয়ে মিছিল করছেন। সামনের সারিতে যারা রয়েছেন তাঁদের হাতে রয়েছে ফ্লেক্স। যেখানে লেখা, ‘তিলোত্তমা ভেবো না, আগুন নিভতে দেবো না’। নীচে ডানদিকে ইংরেজিতে লেখা- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। অভিযোগ, এই মিছিল থেকেই স্লোগান ওঠে ‘কলকাতা মাঙ্গে আজাদি’, ‘আর জি কর মাঙ্গে আজাদি’ ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি।’ যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।’
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই বামেদের দিকে নিশানা করে ঝাঁজালো আক্রমণে নামেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আর জি করে ন্যায়বিচারের আন্দোলনে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান! যাদবপুরে এরা কারা? এদের উদ্দেশ্য কী? জুনিয়র ডাক্তাররা কি ‘আজাদ কাশ্মীরের’ বাসিন্দা ছাড়া রোগী দেখবেন না? তিলোত্তমা ন্যায়বিচার পাক। আমরা সবাই চাই। কিন্তু লাল মুখ আর মুখোশের আড়ালে অরাজকতার চেষ্টা বন্ধ হোক।’
পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন, এ কেমন আন্দোলন? যেখানে ভারত ভাঙার কথা হয়, যেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদের কথা হয়, প্রতিবাদের নামে দেশবিরোধী স্লোগান কীভাবে ওঠে মিছিলে। অভয়ার বিচার আমরা সকলেই চাই কিন্তু এই ধরনের দেশ বিরোধী মানসিকতা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।