শক্তিপীঠে কেঁদে ভাসালেন কেষ্ট, মেয়ে ছাড়াও মমতা, অভিষেকের জন্য তৃণমূল নেতার প্রার্থনা কঙ্কালীতলায়
আনন্দবাজার | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কঙ্কালীতলায় পুজো দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে শক্তিপীঠে যান তিনি। হাতজোড় করে প্রার্থনা করার সময় হাপুস নয়নে কাঁদতে দেখা যায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। পুজো দিয়ে মেয়ের হাত ধরে মন্দির থেকে বেরিয়ে কেষ্ট জানান, কঙ্কালীতলায় বেশ কিছু কাজ বাকি আছে। দুর্গাপুজোর পরে সেই সব কাজ শুরু হবে। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, কঙ্কালীতলায় মায়ের কাছে মেয়ে সুকন্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
ছ’দিন হল গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত। প্রায় আঠারো মাস জেলে ছিলেন তৃণমূল নেতা। একই মামলায় কারাবাস হয়েছিল কন্যারও। বাবা-মেয়ে বাড়ি ফেরার পর সর্বদাই তাঁদের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল নেতা বাড়ির বাইরে পা রাখলেই তাঁর সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সুকন্যাকে। অনুব্রত জানান, তিনি শারীরিক ভাবে ভাল নেই। বিশেষ করে পায়ের একটি সমস্যায় ভুগছেন। কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতায় যাবেন চিকিৎসা করাতে।
শনিবার দুপুরে কঙ্কালীতলা শক্তিপীঠেও পিতা-কন্যা একসঙ্গে পুজো দিতে যান। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েক জন কেষ্ট-অনুগামী। পুজো দিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সতীপীঠকে সাজিয়েছেন। তিনি কঙ্কালীতলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। এমন কোনও পীঠস্থান নেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য করেননি। তিনি বক্রেশ্বরেও টাকা দিয়েছেন পাথরচাপড়িতে টাকা দিয়েছেন। কঙ্কালীতলায় কিছু কাজ বাকি আছে, সেটা করে দেব।’’ অনুব্রত আরও বলেন, ‘‘মায়ের কাছে আসার জন্য ছটফট করছিলাম। আমার বাড়ির কাছে মন্দির। আসব না? আমি বীরভূম জেলার সমস্ত মন্দিরেই যাব। আমার মেয়ে, স্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দিলাম।’’
বোলপুর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত কঙ্কালীতলা। প্রাচীনকালে এই জায়গাটি কাঞ্চি নামে প্রসিদ্ধ ছিল। পীঠ নির্ণয়তন্ত্র অনুসারে এখানে সতীর অস্থি পড়েছিল, সেই কারণে নাম হয় কঙ্কালীতলা। ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যগ্রন্থে লেখা রয়েছে, কঙ্কালীতলায় সতীর কটিদেশ বা কোমরের অংশ পড়েছিল। সাধকদের পাশাপাশি সারা বছর সাধারণ পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এখানে।