• কঙ্কালীতলায় পুজো দিয়ে কলকাতা চললেন কেষ্ট, বাবাকে কাছছাড়া করছেন না কন্যা সুকন্যা
    আনন্দবাজার | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ঘরে ফিরে জানিয়েছিলেন শরীরটা বশে নেই। বাড়ি ফেরার পাঁচ দিন পর চিকিৎসার জন্য কলকাতা রওনা হলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেও সঙ্গী হয়েছেন কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বস্তুত, দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বেরোনো ইস্তক বাবাকে কাছছাড়া করছেন না মেয়ে। রবিবার বিকেলে বাবাকে নিয়ে তিনি গাড়িতে ওঠেন। কেষ্ট জানান, কেন কলকাতা যাচ্ছেন সে কথা পরে বলবেন। এখন কোনও কথা বলবেন না। তবে তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের সূত্রে খবর, চিকিৎসার জন্যই রাজ্য রাজধানীতে যাচ্ছেন ‘কেষ্টদা’। তবে সেখানে দলীয় কোনও বৈঠক রয়েছে কি না কিংবা শীর্ষ নেতৃত্বের কারও সঙ্গে দেখা করবেন কি না, তা নিয়ে কেউ কিছু জানেন না।

    রবিবার দুপুরে বাড়ির কাছে শক্তিপীঠ কঙ্কালীতলায় পুজো দিতে যান অনুব্রত। সেখানেও সঙ্গে ছিলেন মেয়ে। পুজো দিয়ে বেরিয়ে তৃণমূল নেতা জানান, কঙ্কালীতলা দর্শনের জন্য তিনি ছটফট করছিলেন। বীরভূম জেলার সমস্ত মন্দিরে যেতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, কঙ্কালীতলার মন্দিরের কিছু উন্নয়নমূলক কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো পুজোর পর করবেন। কেষ্ট পুজো দিয়ে বেরিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সতীপীঠকে সাজিয়েছেন। তিনি কঙ্কালীতলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। এমন কোনও পীঠস্থান নেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য করেননি। তিনি বক্রেশ্বরেও টাকা দিয়েছেন, পাথরচাপড়িতে টাকা দিয়েছেন। কঙ্কালীতলায় কিছু কাজ বাকি আছে, সেটা করে দেব। আমার মেয়ে, স্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দিলাম।’’ তার পর বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া এবং খানিক বিশ্রামের পর কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা।

    প্রায় আঠারো মাস গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি থাকার পর গত সোমবার রাতে তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পান অনুব্রত। একই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনিও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকন্যা বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন তৃণমূল নেতা। ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছিলেন, শারীরিক ভাবে বেশ কাবু তৃণমূল নেতা। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। কেষ্ট নিজে জানান, পায়ের সমস্যায় বড্ড ভুগছেন। শনিবার জেলা সভাধিপতি কাজল শেখও অনুব্রতের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, ‘‘দাদার শরীর খারাপ। চিকিৎসার জন্য আগামিকাল (রবিবার) হয়তো তিনি কলকাতা যাবেন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)