ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি রানি পার্কের বাসিন্দা পার্থসারথি মিত্রের নামে আর্থিক প্রতারণার মামলা করে তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এমনকি, সাইবার থানায় অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে টাকা তোলার অভিযোগে পার্থসারথির অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, সামগ্রিক ঘটনায় মানসিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েন পার্থসারথি। শুক্রবার রাতে আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, রানি পার্কে পার্থের একটি দোকান ছিল। সেই দোকানের ভাড়া চাওয়া ও দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনার সূত্রপাত। রবিবার অভিযুক্ত ব্যক্তি আকাশ বোধককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তবে হোয়াটসঅ্যাপে বিষয়টি সম্পর্কে আকাশ লেখেন, যা যা হয়েছে, সব চুক্তি মেনেই হয়েছে। পার্থের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তাঁর পাঠানো প্রমাণ অনুযায়ী, দোকানের ‘সিকিয়োরিটি ডিপোজ়িট’-এর অগ্রিম বাবদ অভিযুক্ত ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। বাকি টাকা নগদে দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী চুক্তিপত্রে পার্থ ও তাঁর স্ত্রীর সইও রয়েছে। জুলাই মাস পর্যন্ত তিনি দোকানের মাসিক ভাড়া মিটিয়েছেন বলেও অভিযুক্তের দাবি। তা হলে কিসের ভিত্তিতে সাইবার থানায় পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন? যা শুনে অভিযুক্তের দাবি, তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। তা হলে পার্থের পরিবারের তরফে কেন তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা হল? উত্তরে আকাশ জানান, ব্যাপারটা কী হয়েছে, তা ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করলেই জানা যাবে।
এ দিকে, অভিযুক্ত আকাশ মধ্যমগ্রাম পুরসভার যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি পঙ্কজকান্তি চন্দ জানিয়েছেন, দোকানের ভাড়া নিয়ে জটিলতার বিষয়টি তিনি জানতেন। পঙ্কজের বক্তব্য, ‘‘আমার ওয়ার্ড বা যেখানকারই হোক না কেন, কেউ দোষ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতেই হবে।’’ পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন পার্থ। ওই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি গোপাল ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশকে অনুরোধ করব, ঘটনাটির দ্রুত তদন্তের জন্য। পার্থসারথি মিত্রের আকস্মিক মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’