• ‘গদ্দার হঠাও ভাঙড় বাঁচাও’, বার্তা সায়নীর, আরাবুলকে নিশানা করলেন নাকি?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • গত কয়েকদিন ধরে ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। এবার ভাঙড়ের কর্মীসভা থেকে প্রকাশ্যে নাম না করে আরাবুল ইসলামকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি আরাবুল ইসলামকে নাম না করে ‘গদ্দার’  বলে কটাক্ষ করেছেন। রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে একটি কর্মীসভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি আরাবুলকে দু পয়সার নেতা বলেও কটাক্ষ করেন।


    রবিবার পাঁচ বিধায়ক এক সাংসদ নিয়ে কর্মীসভা করেন শওকত। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত মোল্লা বিরোধীদের এভাবেই আক্রমণ করেন সায়নী। তিনি বলেন, ‘বিজেপি, আইএসএফ পরে হবে আগে নির্বাচনের সময় যারা দলের পিঠে ছুরি মেরেছে তাদের চিহ্নিত করুন। তৃণমূলের মধ্যে যারা এই কাজ করেছে তাদেরকে শনাক্ত করুন। যারা এখানে নিজেকে শওকত মোল্লার থেকে নিজেকে বড় নেতা বলে মনে করেন তাদের শনাক্ত করুন।’ এরপরে তিনি বলেন, ‘গদ্দার হঠাও ভাঙড় বাঁচাও। সিপিএম, আইএসএফ, বিজেপি এগুলি পরে হবে। আগে নিজের দলের মধ্যে যে গদ্দাররা আছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ’

    বক্তৃতার শেষে সংবাদ মাধ্যমকে সায়নী জানান, বিজেপি, সিপিএমের সঙ্গে যেমন লড়াই করতে হবে তেমনি তৃণমূলের মধ্যে যদি এমন কেউ থাকে যারা দলের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ। একসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শওকত মোল্লা গত তিন বছর ধরে ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে থেকে নির্বাচন করে একটি পরিবারে পরিণত করেছেন। যদি কারও শওকত মোল্লাকে বড় নেতা বলে মেনে নিতে অসুবিধা হয় তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত সমস্যা।’

    উল্লেখ্য, জেল মুক্তির পর সরাসরি শওকত মোল্লাকে হার্মাদ বলে কটাক্ষ করেছেন আরাবুল ইসলাম। তারপরেই শওকত মোল্লার ডাকে এদিনের এই সভা। সেখান থেকে উপস্থিত বিধায়ক ও সাংসদ একের পর এক আরাবুল গোষ্ঠীকে হুঁশিয়ারি দেন, যা ভাঙড়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। 

    এর প্রতিক্রিয়ায় এদিন আরাবুল বলেন, ‘নতুন সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে আমি এখনই কিছু বলব না। ভাঙড়ের ভৌগোলিক দিকটা তিনি বুঝুক তারপরে আমি বলব।’ শওকতকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘একজন হার্মাদ তিনি দাবি করছেন ভাঙড় তাঁর নিজের। সেই হার্মাদ নিজের মতো করে দলটাকে চালাতে চাইছে । সেই হার্মাদের লোকেরা ২০০৮, ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুলি করার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিল। সেদিন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলাম। আমি ছুটে গিয়েছিলাম দিদির পাশে। আমি বলেছিলাম, আপনি গাড়িতে উঠুন নাহলে হার্মাদরা এখানে গুলি চালাবে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)