রাতের খাবার নিয়ে বিবাদের জেরে মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার ঘটনা। তবে অভিযুক্তকে আগেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। পরিবারের দাবি, ছেলে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুকান্ত বিশ্বাস অনেকদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও সুফল মেলেনি। হঠাৎই হিংস্র হয়ে উঠতেন তিনি। রবিবার রাতে খাবার নিয়ে সুকান্তর সঙ্গে তাঁর মা যমুনা বিশ্বাসের বিবাদ হয়। বিবাদ চলাকালীন হঠাৎই ধারাল অস্ত্র নিয়ে মাকে কোপাতে থাকে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন যমুনাদেবী। এর পর এলাকা ছেড়ে পালায় সুকান্ত। পরিজনরা যমুনাদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভীমপুর থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তের সন্ধান পাননি তাঁরা। সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন না। তাঁকে আগেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্তের বাবা সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। কলকাতা ও বহরমপুরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল হয়নি। ও হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করত। আমরা কেউ ওকে সামলাতে পারতাম না। তাই বলে যে এরকম একটা কাণ্ড ঘটাবে বুঝিনি। ওর চিকিৎসা প্রয়োজন। আদালতকে সেকথা জানাব।