• পুজোর মুখে 'হাসছে না' পাহাড়, মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আবহে দার্জিলিং-কালিম্পঙে বনধ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আজ ৮ বছর পর ১২ ঘণ্টার জন্য পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এই বনধের ডাক দিয়েছে। পাহাড়ের সকল রাজনৈতিক দলই এই বনধকে সমর্থন করেছে। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের শরিক অনীত থাপাও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গেই আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে এহেন বনধে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়বে। আর অনীতের অবস্থানে রাজনৈতিক ভাবে অস্বস্তি বাড়তে পারে তৃণমূলেরও। যদিও অনীতের দল সরাসি বনধের সমর্থন করেনি। তাঁরা ‘মধ্যপন্থা’ অবলম্বনের চেষ্টায় আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখে সরাসরি বনধের বিরোধিতার পথে হাঁটতে পারবে না তারা।



    উল্লেখ্য, পুজোর আগে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানিয়েছিলেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু মালিকপক্ষ জানিয়ে দেয়, ১৩ শতাংশের বেশি বোনাস দেওয়া সম্ভব নয়। এই আবহে রবিবার চা বাগান শ্রমিকদের বোনাসের দাবিতে চতুর্থ বার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় দাগাপুরের শ্রমিক ভবনে। তবে সেই বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। এই আবহে রবিবারই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে রাজ্যের টি অ্যাডভাইসারি কমিটি এবং রাজ্যের শ্রম দফতরকে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ কর‍তে হবে বলে দাবি উঠেছে। এই সবের মাঝে জিটিএর প্রধান অনীত থাপার দল সহ পাহাড়ের অন্যান্য দল পাহাড়ে শ্রমিকদেরই সমর্থন জানিয়েছে। তবে এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জিটিএ এবং শ্রম দফতরের ভূমিকা নিয়ে। এই আবহে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিকে আজ পালিত হবে এই বনধ।

    এদিকে বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির পর্যালোচানা করতে গতকালই সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর কলকাতায় ফিরে আসার কথা। এর মাঝে বনধ প্রসঙ্গে অনীতের দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, 'আমরা বনধের বিরোধিতাও করছি না, আবার সমর্থনও করছি না। সোমবার ফের একটা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। শ্রমিকরা নিজেরাই এই বনধ পালন করতে চাইছে না। এতে আখেরে মালিকদেরই লাভ হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তবে আমরা শ্রমিকদের পাশে রয়েছি।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)