• 'উৎসবে ফিরছেন শতরূপ?' শপিংয়ে গিয়ে ট্রোল বাম নেতা, জবাবে কুণালের 'অন্তর্বাসে টান'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বলেছিলেন, 'পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন'। তাঁর সেই বাক্যে সমাজের একটা বড় অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। 'উৎসবে না ফেরার' ডাক দিয়ে আন্দোলন জারি রাখার বার্তা দিয়েছিলেন অনেকেই। এরই মাঝে পুজো ঘনিয়ে এসেছে। আর এবার বাম নেতা শতরূপ ঘোষকে দেখা যায় শপিং মলে। সেখানে তিনি নিজের ভাইঝিকে নিয়ে গিয়েছিলেন একটি জামা কিনে দেওয়ার জন্যে। আর তাই নিয়েই শাসকদলের তরফ থেকে 'ট্রোল' করা হচ্ছে শতরূপকে। ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে, নীল টিশার্ট পরিহিত শতরূপ একজন শিশুর হাত ধরে আছেন। শতরূপের হাতে গোলাপী একটি পোশাক।


    দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এক ঝাঁ চকচকে শপিং মলে পুজোর কেনাকাটি করার সময় শতরূপের ছবি তোলা হয়েছিল। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই আবহে শতরূপ পোস্ট করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি জানান, ভাইঝিকে নিয়ে জামা কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি শতরূপ জানান, তিনি বা সিপিএম কোনওদিন কাউকে উৎসবে ফিরতে বারণ করেনি। তবে শাসকদল যেভাবে উৎসবের আছিলায় প্রতিবাদের আগুন ঢাকতে চেয়েছে, সেটার প্রতিবাদ করেছেন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কুণাল ঘোষকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান শতরূপ ঘোষ। পাশাপাশি নিজের ছোট্ট ভাইঝির জন্যে তিনি সৎ পথে উপার্জিত টাকা দিয়ে জামা কিনছেন বলে ঘুরপথে তৃণমূলকেই তোপ দাগেন দুর্নীতি ইস্যুতে। তিনি দাবি করেন, সারদার দুর্নীতির টাকা দিয়ে নিজের অন্তর্বাস কিনেছিলেন কুণাল, তাই তা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে।


    তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আজ আমার ভাইঝিকে নিয়ে জামা কিনতে গেছিলাম। এখন দেখি চোর্কুনালের পোর্টাল দূর থেকে ছবি তুলে এটা পোস্ট করেছে। প্রসঙ্গত বলি, আমি বা আমার দল কোনওদিন কাউকে বারণ করিনি উৎসবে শামিল হতে। বলেছি, মানুষ তো উৎসব করবেই। কিন্তু শাসক উৎসবকে প্রতিবাদের বিকল্প প্যাকেজ হিসেবে উপস্থিত করতে চাইছে কেন? ধর্ষণের প্রতিবাদ হলে চোর্কুনাল আর ওর নেত্রীর কেন চুলকুনি হয়? মানুষ উৎসবে ফিরলে কি চোর্কুনাল আর ওর দলের লোকেরা ধর্ষণে ফিরতে পারবে? সেক্ষেত্রে কারা উৎসবে ফিরবে সেপ্রসঙ্গ গৌণ। জরুরি হল, চোর্কুনাল জেলে ফিরুক। আর একটা কথা, জামাটা সৎ পথে আয় করা টাকায় কিনেছি। শুনেছি একবার নাকি একজনের আন্ডারওয়্যারটা সারদার টাকা কেনা বলে সিবিআই বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)