আপাতত সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কো-অর্ডিনেটর হিসেবেই কাজ করবেন প্রকাশ কারাট। পরবর্তী পার্টি কংগ্রেস পর্যন্ত দলের দৈনন্দিন কাজ চালাবে পলিটব্যুরো। দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কারাট পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। দিল্লিতে পলিটব্যুরোর দু’দিনের বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তেই রবিবার সিলমোহর পড়ল কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে। তবে একই সঙ্গে উঠেছে প্রশ্নও।
তৃতীয় দফায় সাধারণ সম্পাদক থাকতে থাকতেই সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণেই যে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগের ‘বিশেষ সিদ্ধান্ত’ নিতে হয়েছে, বিবৃতি দিয়ে সে কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে দায়িত্বে থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যুর ঘটনা সিপিএমে ঘটেনি। আগামী বছর এপ্রিলে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে দলের পার্টি কংগ্রেস হওয়ার কথা। সেখানে পূর্ণ সময়ের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন না-হওয়া পর্যন্ত কারাট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করবেন। এই মুহূর্তে পলিটব্যুরোয় অভিজ্ঞতম নেতা কারাটই যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তা নিয়ে অবশ্য দলে কোনও প্রশ্ন নেই। তবে কেন তাঁকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হল না, সেই প্রশ্ন উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনায়।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম দিনের বৈঠকে বাংলার এক নেতার বক্তব্য ছিল, সাধারণ সম্পাদকের প্রয়াণজনিত পরিস্থিতি দলে অভূতপূর্ব। ভারপ্রাপ্ত বা অস্থায়ী সাধারণ সম্পাদক করার বিষয়ে গঠনতন্ত্রে যেমন কিছু বলা নেই, কো-অর্ডিনেটর নিয়েও তেমন কোনও নজির নেই। বিশেষ ব্যবস্থাই যখন নিতে হচ্ছে, তা হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নয় কেন? জেলা সিপিএমে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পাদকের মৃত্যুতে ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক করা হয়ে থাকে। আরও কয়েক জন এই মতের সমর্থক ছিলেন। তবে বৈঠকেই পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে, এই সমস্ত দিক আলোচনা করেই পলিটব্যুরো আপাতত কো-অর্ডিনেটর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি আলোচনা পার্টি কংগ্রেসেই হবে।
কেরলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি লাগাতার উত্তপ্ত। এক অভিনেতা-বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। এক বিধায়ক শাসক ফ্রন্ট এলডিএফ ছাড়ার ঘোষণা করে নানা আক্রমণ শানাচ্ছেন। অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে শাসক দল সিপিএমকে। সূত্রের খবর, কেরলের পরিস্থিতিও কেন্দ্রীয় কমিটিতে আলোচনায় এসেছে।