স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই কিশোর ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল ছাদে । সেই সময় আচমকা পড়ে যায়। তার শরীরের মধ্যে রড ঢুকে যায়। স্থানীয়রা ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এমন দুর্ঘটনার ওই কিশোরের পরিবার শোকে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
প্রসঙ্গত, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ বিশাল পুলিসবাহিনী।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনায় ২ নাবালককেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। নবম ও দশম শ্রেণির ২ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানাতে পেরেছে, মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম-এর পাসওয়ার্ড নিয়ে বচসা হয়। আর সেই কারণেই দুই বন্ধ মিলে মারধর করে প্রীতম বিশ্বাস নামে ওই ছাত্রকে। তাতেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিহত ছাত্রের বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদেই মেলে সূত্র। খুনের ঘটনায় মোটিভ জানতে পারে পুলিস। ব্রেক থ্রু করে পুলিস। গ্রেফতার করে নিহত ছাত্রেরই বন্ধু অপর ২ নাবালককে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়।