রবিবার সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশনে নামলেন হায়দরাবাদের কলেজপড়ুয়া এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। জওহরলাল নেহরু আর্কিটেকচার অ্যান্ড ফাইন আর্টস ইউনিটের জনা ২৫ পড়ুয়া শহরে হাজির পুজোর আগেই পুজো দেখার জন্য। পুজো মানে অনেকের কাছে নিছকই পুজো নয়। জনপরিসরে বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পকলা উৎসব বা বিগেস্ট পাবলিক আর্ট ফেস্টিভ্যাল বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন অনেকে। এ বারও পুজোর সেই মেজাজটি অটুট থাকছে। তা বেশ কয়েক জন দেশি-বিদেশি অতিথি সমাগমে স্পষ্ট।
মহালয়া তিথি বা দেবীপক্ষ শুরু হতে আরও দু’দিন। তার আগে আজ, সোমবার কলকাতার পুজোর প্রিভিউ শোয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে। কলকাতার দুর্গাপুজো শিল্পকলা প্রদর্শনী সম্ভার মেলে ধরার অনুষ্ঠানটির অন্যতম শরিক ইউনেস্কো। সোমবার বিকেলে টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই প্রাক্-পুজো মণ্ডপ সফরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
কলকাতার ২৪টি বাছাই পুজো এই প্রাক্-প্রদর্শনীতে দেখা যাবে বলে জানালেন উদ্যোক্তা মাসআর্টের কর্তা ধ্রুবজ্যোতি বসু শুভ। দমদম পার্ক, অর্জুনপুর, সল্টলেক, হাতিবাগান, আহিরীটোলা, কাশী বোস লেন থেকে চেতলা অগ্রণী, ত্রিধারা, সুরুচি, পূর্বাচল শক্তি সঙ্ঘ, কেন্দুয়া, সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক, নাকতলা, বেহালা, বড়িশা, ঠাকুরপুকুর— সর্বত্র পুজোর ভিড় শুরুর আগেই ফাঁকায় ফাঁকায় মণ্ডপ সফরের সুযোগ। জোড়াসাঁকোর দাঁ বাড়ি এবং দর্জিপাড়ার রাজকৃষ্ণ মিত্রের বাড়িও ঘুরে দেখা যাবে। টাউন হলেও চলবে দুর্গাপুজো বিষয়ক প্রদর্শনী। গত বছর আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকা তৈরির ২০ বছরে সারা বিশ্বে বাছাই ঐতিহ্য উদ্যাপনে যুক্ত ছিল ইউনেস্কো। এ বছর আলাদা করে কলকাতা পুজোরই শরিক হচ্ছে তারা।