রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা প্রতিমা তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও জট কাটল না। সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের আদালতে। পুজোর উদ্যোক্তারা জানান, মণ্ডপের সামনের ১২ ফুটের সংকীর্ণ রাস্তায় প্রবল ভিড় হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। সেই রাস্তা ব্যবহার না করে দূর থেকে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তাঁরা।গত বৃহস্পতিবার আদালতে জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, এই পুজোর জন্য জেলা প্রশাসন অনুমতি দেবে না। জেলাশাসককে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে নদিয়ার জেলাশাসককে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল আদালত। চলতি বছর 'বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা' তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিল নদিয়ার রানাঘাটের কামালপুর অভিযান সংঘ। ১১২ ফুটের প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগাতে চেয়েছিল তারা। প্রায় ২০টি গ্রাম এবং একাধিক ক্লাব সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসেছিল এই উদ্যোগের জন্য। কিন্তু এত বড় দুর্গা দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় হলে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথাটি মাথায় রেখে এই প্রতিমা তৈরির অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।
এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন উদ্যোক্তারা। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আগের শুনানিতে জানিয়েছিলেন, পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে হবে জেলাশাসককে। গত বৃহস্পতিবার নদিয়ার জেলাশাসক আদালতে জানান, পুলিশ, বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল, রানাঘাট মহকুমাশাসক পুজোর অনুমতি দেননি। নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত যে সরকারি নিয়ম রয়েছে তা মানেননি এই পুজোর উদ্যোক্তারা। আর সেই কারণে মেলেনি অনুমতি।
পাশাপাশি যে রাস্তা দিয়ে লোকজন এই মণ্ডপে প্রবেশ করবে তা সংকীর্ণ, ১২ ফুটের বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে ভিড়ের চাপ সামলানো কঠিন এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে। এ বার সেই রাস্তাটি ব্যবহার না করার কথা আদালতে জানালেন উদ্যোক্তারা। এরপর কি প্রশাসন এই দুর্গাপুজোর অনুমতি দেবে? এখন সব নজর সেই দিকেই।