• পুজোর অনুদান নিলে মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে হবে, নিদান তৃণমূল বিধায়কের
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অরূপ লাহা: আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের বহু পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখান করেছন। কিন্তু অনুদান নিচ্ছে এমন পুজোর সংখ্যাই বেশি। যারা অনুদান নিচ্ছে না তাদের এবার হুশিয়ারি দিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রায়ই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে চলে আসেন। এবারও বললেন বেফাঁস কথা।

    সোমবার ভাতার থানায় মঞ্চ বেঁধে পুজো কমিটিগুলিকে পুজোর অনুদান দেবার ব্যবস্থা করা হয় পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিস প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েই চড়া সুরে বিধায়ক তাঁর নিদান দেন। তিনি বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পুজোর জন্য যে টাকা দিচ্ছেন তার জন্য তাঁর ছবি যেন প্রতিটি প্যাণ্ডেলে টাঙানো থাকে। এটা কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকাটা নিচ্ছেন আপনারা। এটা সরকারের টাকা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের লোক। সে পার্টি হতে পারে। কিন্তু অনেকে টাকাটা নিচ্ছেন,অথচ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাচ্ছেন না। এটা খুব বাজে জিনিস। ছবি টাঙাতে আপত্তি থাকলে আপনারা টাকাটা নেবেন না। এটা আমার অনুরোধ আপনাদের কাছে। অনেক ক্লাব তো টাকা নিচ্ছে না। আপনারাও নেবেন না।

    বিধায়ক যখন এরকম হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে, মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও, ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত, ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল, সার্কেল ইনস্পেক্টর (এ) শৈলেন উপাধ্যায় ও ভাতার থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত।

    পুজো কমিটিগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর পাশাপাশি বিধায়ক পুলিস প্রশাসনকে ডিজে ব্যবহার নিয়েও একপ্রকার সক্রিয় হবার পরামর্শ দেন। তবে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী এই প্রথম নয়, বরাবরই আলটপকা ও বির্তকিত মন্তব্য করেন। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য বা ধন্যবাদ দেবার জন্য বিধায়ক একথা বলেছেন। এটা একেবারে সাধারণ কথা। এটা তিনি বলতেই পারেন। কারণ রাজ্য সরকারের তিনি একজন বিধায়ক।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)