পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যের পর থেকে সন্দীপকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। | রাত নটা নাগাদ বাড়ির পেছনে শৌচালয়ের পাশে এসে ট্যাঙ্কের ভাঙা ঢাকনা দেখে ভেতরে খোঁজাখুঁজি করতে সন্দীপকে দেখতে পাওয়া যায়। |স্থানীয়রা রাতে তাকে উদ্ধার করে বনগ্রাম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে | খবর পেয়ে এদিন সকালে মৃত শিশুর বাড়ি আসে পঞ্চায়েত এর প্রতিনিধিরা। তারা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বছর ২-৩ বছর আগে শৌচালয় তৈরি হয়েছে। ব্লক অফিসের মাধ্যমে কাজ হয়েছে। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে আমদের নজর থাকবে।
বিজেপির অভিযোগ কাটমানি খেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শৌচালয় ও তার কুঁয়ার ঢাকনা তৈরির জন্য এই ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
সন্দীপের বাবা বলেন, টিউশন যাবার জন্য ছেলেকে ঘুম থেকে তুললাম। খেয়ে দেয়ে টিউশন পড়তে গেল। ফিরে এসে বাজার গিয়েছিল। তারপর ঘরের একটি বঁড়শি বাড়ির চালে রাখতে গিয়েছিল। পা দিয়েছিল ট্যাঙ্কের ঢাকনার উপরে। সেই ঢাকনা ভেঙেই নীচে পড়ে যায়। রাত তখন দশটা বাজে তখন ওর মা ঘরের পিছনে গিয়েছিল বাড়ির গোরুটিকে দেখতে। তখনই দেখে ট্যাঙ্কের উপরের স্ল্যাব নেই। ভেতরে টর্চ মেরে দেখে ছেলে ভেতরে পড়ে রয়েছে। স্ল্যাবের ভাঙা একটি টুকরো ছেলের ঘাড়ে পড়েছে। ওকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। ওরা বলল ও বেঁচে নেই।