বেঁধে দেওয়া হয়েছে নৌকার যাত্রীর সংখ্যা। যা লেখা হয়েছে নৌকার গায়ে। সেই অনুযায়ী নিতে হবে যাত্রী। তার বেশী নয়। এই কাজের তদারকিতে রয়েছে পুলিস ও সিভিক ভোলেন্টিয়ার। এমনিই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্লক প্রশাসন ও পুলিস আধিকারিকদের। মানিকচকে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জলমগ্ন পাঁচটি অঞ্চল।
বিশেষত ভুতনির তিনটি পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ জলবন্দি দশায় রয়েছে। বন্ধ সড়কপথে যাতায়াত, যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম রয়েছে নৌকা। আর এই নৌকার মধ্যেই পারাপার করতে গিয়ে বারংবার ঘটছে দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে মানিকচকে মৃত্যু হয়েছে নয় জনের এখনও নিখোঁজ এক ব্যক্তি। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা ও নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এড়াতে তৎপরতার সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণ করল পুলিস ও ব্লক প্রশাসন।
ভূতনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় থাকা নৌকাগুলির গায়ে রংতুলি দিয়ে যাত্রী নেওয়ার সংখ্যা লিখে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মাইকিং করা হচ্ছে। নৌকাটি কোন এলাকায় যাবে তার সিরিয়াল নম্বর ও কতজন যাত্রী নেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হচ্ছে। এই কাজের তদারকি করছে পুলিস ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের। মূলত উত্তর চন্ডীপুর, দক্ষিণ চন্ডিপুর ও হিরানন্দপুর এলাকায় যায় এই নৌকা গুলি। প্রায় ২৫টি নৌকা ইতিমধ্যে চিহ্নিতকরন করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
নৌকা কখন ছাড়ছে। নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠছে কী না তাও তদারকির জন্য সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে পুলিস ও সিভিক ভোলেন্টিয়ার। অন্যদিকে সিভিল ডিফেন্স ও এন.ডি.আর.এফের বিশেষ দল স্পিড বোটের মাধম্যে মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করছেন। এবিষয়ে নৌকা মাঝি অনিল মণ্ডল বলেন, প্রশাসনিক নির্দেশ বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সেই মত আমরা প্রশাসনের নির্দিষ্ট করা সংখ্যা অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে নৌকা পারাপার করছি।