‘কোনও বন্ধ নয়, রাজনৈতিক অশান্তির চেষ্টা হচ্ছে’, পাহাড়ে ধর্মঘট নিয়ে বাগডোগরায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিদিন | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট আসলে রাজনৈতিকভাবে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা। শিলিগুড়ি থেকে ফেরার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্যই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে যা সমস্যা, লেবার কমিশন দেখছে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমাদের হস্তক্ষেপের কিছু নেই।” এর পরই বলেন, ”কোনও বন্ধ হচ্ছে না। বাংলায় বন্ধ হয় না। এটা রাজনৈতিকভাবে অশান্তি করার চেষ্টা।”
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার শিলিগুড়ি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সোমবার দুপুরেই বাগডোগরা হয়ে কলকাতা ফিরেছেন। তাঁর এই ঝটিকা সফরের মাঝেই পাহাড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। সকাল থেকে স্তব্ধ দার্জিলিং। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরও মিলেছে। প্রসঙ্গত পাহাড়ের এমন থমথমে ছবি প্রায় ৮ বছর পর। এই পরিস্থিতি বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ”কোথাও বন্ধ হচ্ছে না। আমরা কোনও বন্ধ সমর্থন করি না। তরাই-ডুয়ার্সে কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর বোনাসের বিষয়টা লেবার কমিশন দেখছে, ওরা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। আমরা হস্তক্ষেপ করব না।”
শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বনাম মালিকদের ১৩ শতাংশ। পুজোর বোনাস নিয়ে দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলিতে কার্যত ‘দরাদরি’ চলছে। কয়েকবার আলোচনা করেও সমাধান মেলেনি। ১৩ শতাংশ হারেই পুজোর বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অনড় মালিকপক্ষ। আর শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। দাবি আদায়ে এবার কাজকর্ম বন্ধ রেখে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হচ্ছে। রোহিনী, কার্শিয়াংয়ে রাস্তায় বসে অবরোধ করেছেন চা শ্রমিকরা। গাড়ি আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ যদিও পাহাড়ের জনজীবন সচল রাখতে সক্রিয়। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিলেন ধর্মঘট নিয়ে।