জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সরকারি প্রকল্পে তৈরি শৌচালয়ের ট্যাঙ্কির ঢাকনা ভেঙে তার ভিতরে পড়ে মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্রের। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বনগাঁর সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপলি পাড়ায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী নিয়ে শৌচালয় এবং ট্যাঙ্কি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণে তা এভাবে ভেঙে পড়ে মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠল।
সুন্দরপুরের পিপলি পাড়ার বাসিন্দা বছর তেরোর সন্দীপ মজুমদার। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধে থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খুঁজতে খুঁজতে রাত ৯টা নাগাদ বাড়ির পিছনে শৌচালয়ের ট্যাঙ্কির ঢাকনা ভাঙা অবস্থায় দেখেন সন্দীপের বাবা। তা দেখে সন্দেহ হয়। তার আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় গভীর রাতে ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় সন্দীপের দেহ। স্থানীয়রাই রাতে তাকে উদ্ধার করে বনগ্রাম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা সন্দীপকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে সোমবার সকালে মৃত শিশুর বাড়িতে পৌঁছন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। তাঁরা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ”বছর ২-৩ আগে শৌচালয় তৈরি হয়েছে। ব্লক অফিসের মাধ্যমে কাজ হয়েছে। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে আমদের নজর থাকবে।” বিজেপির অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শৌচালয় ও তার কুয়ার ঢাকনা তৈরি করা হয়েছে। সেই কারণেই তা ভেঙে এমন ঘটনা ঘটল। মাত্র ১৩ বছর নাবালকের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।