• উৎসবে বিতর্ক নাপসন্দ! পুজোমণ্ডপ থেকে ‘শিরদাঁড়া’ সরাল বেলেঘাটার ক্লাব
    প্রতিদিন | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের আনন্দের মাঝে কোনও বিতর্ক চান না। তাই সামাজিক বার্তা দেওয়ার একটা প্রয়াস থাকলেও বিতর্কের মুখে পড়তেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন বেলেঘাটার পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের মণ্ডপসজ্জা থেকে বাদ পড়ল প্রতীকী শিরদাঁড়া। আর জি কর আবহে শিরদাঁড়া নিয়ে এহেন টানাপোড়েন স্বভাবতই জল্পনা বাড়িয়েছে। আলোচনা, সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু উদ্যোক্তারা বিষয়টি নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে নারাজ। বলা হচ্ছে, এর সঙ্গে আর জি করের কোনও সম্পর্ক নেই। এই থিম তাঁদের বহু আগে থেকে ভাবা, সেইমতো কাজ এগিয়েছে। শুধু মণ্ডপসজ্জায় সামান্য বদল আনা হয়েছে। তার পরও অবশ্য গুঞ্জন থামছে না।

    বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কলের এবছর ৫১ তম পুজো। ‘বাবা’ থিমকে কেন্দ্র করে তাঁদের পুজোর ভাবনা। এনিয়ে উদ্যোক্তাদের মত, বাবা পরিবারের কর্তা, পরিবারের মেরুদণ্ডসম। তাঁকেই এবারের পুজো উৎসর্গ করা হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য ছিল, বাবারা বরাবর থেকে যান অন্তরালেই। এবার তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিডন স্ট্রিটের কাছে একটি কর্মশালায় বিশাল শিরদাঁড়া তৈরি হয়েছে। মণ্ডপের সামনে তা প্রদর্শনের কথা ছিল।

    আর তা করতে গিয়েই বাঁধল যত গোল। ১৫ ফুটের সাদা রঙের প্রতীকী শিরদাঁড়াটি মণ্ডপের সামনে রাখা ছিল। এনিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। শিরদাঁড়া প্রদর্শন করে আসলে কাকে কী বার্তা দিতে চাইছে বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কল? এই প্রশ্ন উঠেছিল। সেসবের আঁচ এড়াতে ওই প্রতীকী শিরদাঁড়া সরিয়েই দেওয়া হল মণ্ডপ থেকে। কেন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল? এর জবাব অবশ্য সরাসরি দেননি উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির একজন সংক্ষেপে জানিয়েছেন, ”পুজো তো আসলে উৎসব, আমরা উৎসব নিয়ে মেতে আছি। অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না।” সত্যিই তো, পুজোর দিনে কে আর বিতর্ক, সমালোচনা চায়?
  • Link to this news (প্রতিদিন)