বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ত্রিপল বিক্রি যুবকের, তুমুল বিতর্ক মালদায়
এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি মালদা জেলায়। পর্যাপ্ত ত্রাণ বন্টনের ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। এর মাঝেই এক যুবককে বাইক বোঝাই করে সরকারি ত্রিপল বিক্রি করতে দেখা গেল মালদায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চাও। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস স্থানীয় বিডিওর।মালদার বৈষ্ণবনগর থানার দেওনাপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ত্রিপল বিক্রি করছেন এক যুবক। সরকারি ত্রিপল বাইকে নিয়ে এলাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় অভিযুক্ত যুবককে। স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই যুবককে। সরকারি ত্রিপল বিক্রির সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। এ বিষয়ে কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের বিডিও সুকান্ত শিকদার বলেন, ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজ করা হচ্ছে। কোথা থেকে ত্রিপল যুবক কিনেছিল সেই বিষয়টিও খোঁজ খবর করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মালদার মানিকচকের ভূতনি, রতুয়া ব্লকের অধিকাংশ এলাকা গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ত্রাণ বন্টন নিয়েও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এর মাঝেই এক যুবকের সরকারি ত্রিপল বিক্রির ঘটনা চোখে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম-পরিচয় পাওয়া না গেলেও তার বাড়ি কালিয়াচকের শেরশাহী আলিপুর গ্রামে বলে খবর।
দক্ষিণ মালদা বিজেপির সহ-সভাপতি তারক ঘোষ জানান, সরকারি ত্রিপল সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন না। এদিকে তৃণমূলের সদস্যরা ত্রিপল পাচ্ছে। সেই ত্রিপল বিক্রি করছে। সরকারি ত্রিপল যাঁরা পাওয়ার কথা তাঁরা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে বিডিওকে ত্রিপল বন্টনের বিষয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু বিডিও কোনও গুরুত্ব দেননি। সব কিছুতেই বিরোধীদের উপরে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে, মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার জানান, কালিয়াচকের তিন নম্বর ব্লকের দেওনাপুর এলাকায় যে সরকারি ত্রিপল বিক্রি করছে, সেটা জানা গিয়েছে। আসলে বিরোধীরা বাংলায় একটা চক্রান্ত করছে। ত্রিপল দেওয়ার সময় আমরা কোনও রং দেখছি না, সবাইকে দিচ্ছি। সেখানে বিরোধীরা সেই ত্রিপলকে নিয়ে কারও মাধ্যমে বিক্রি করাচ্ছে। রাজ্য সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসন পুরোপুরি নির্দেশ দিয়েছে যদি সরকারি জিনিস কেউ বিক্রি করে তাহলে আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।