'মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না টাঙালে পুজোর অনুদানের টাকা নেবেন না', হুঁশিয়ারি বিধায়কের
এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে অসুবিধা থাকলে সরকারি অনুদান না নেওয়ার নিদান তৃণমূল বিধায়কের। পুজোর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত ক্লাবগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু যে সমস্ত পুজো কমিটির মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙাতে অসুবিধা রয়েছে তাঁদের এই সরকারি অনুদান না নেওয়াই ভালো বলে দাবি করলেন ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। সোমবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে চেক বিতরণ করার জন্য বিশেষ মঞ্চের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিধায়কও। এই মঞ্চ থেকেই এই বার্তা দেন তিনি। আর তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক?
মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিচ্ছেন। তাঁর ছবি যেন প্রতিটা প্যান্ডেলে টাঙানো থাকে। এটা সরকারের টাকা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের লোক। অনেকে টাকা নিচ্ছেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাচ্ছেন না।'
তিনি আরও বলেন, ‘যাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে অসুবিধা আছে, তাঁদের এই টাকা না নেওয়াই ভালো। আমার অনুরোধ আপনারা যদি মনে করেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাবেন না, তাহলে টাকাটা নেবেন না।’
কী বলছেন বিরোধীরা?
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরব বিরোধীরা। জেলা বিজেপির মুখপাত্র শান্তরূপ দে বলেন, 'তৃণমূলে একনায়কতন্ত্র চলে। পুজোর টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতারের বিধায়ক হুমকি দিচ্ছেন। এটি থ্রেট কালচার-এর একটি অংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানো নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিধায়ক এভাবে হুমকি কেন দেবেন? এই বিষয়টিই নিন্দনীয়।’ সরব হয়েছেন জেলার বাম এবং কংগ্রেস নেতারা।
যদিও বিরোধীদের কথায় আমল দিতে নারাজ জেলা পরিষদের শিক্ষা সংস্কৃতি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু কোনার। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিশ্বজুড়ে কিন্তু রাজ্যের পুজোর জৌলুস বৃদ্ধি নিয়ে এরপর চর্চা হয়েছে। একজন বিধায়ক নিজের ব্যক্তিগত মতামতের কথা বলেছেন। এটা খুব সাধারণ বিষয়।'
এ দিকে পুজোয় অনুদান দেওয়ার জন্য সরকারি শর্ত প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পুজো মণ্ডপে টাঙাতে হবে, এই ধরনের কোনও নিয়ম নেই। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ যেমন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পগুলির হোর্ডিং টাঙানোর কথা বলা হয় পুজো কমিটিগুলিকে।’