চেনা ছবি পাহাড়ে! বন্ধের প্রভাব কার্শিয়াং-দার্জিলিঙে, ভোগান্তি পর্যটকদের
এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফের চেনা ছবি ফিরল পাহাড়ে। চা বাগান শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা বন্ধের জেরে দিনভর কার্যত স্তব্ধ ছিল দার্জিলিং। বন্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে গোরুবাথান এলাকায়। মিশ্র প্রভাব পড়ে কালিম্পংয়েও। ভোগান্তি হয় পর্যটকরা।সোমবার সকাল থেকেই গোরুবাথানের পান্ডারা মোড়ে পথ অবরোধ করেন চা বাগান শ্রমিকেরা। গোরুবাথান ব্লকের লোয়ার, আপার ফাগু, অম্বিয়ক, মিশন হিল, কুমাই-সহ আরও বেশ একটি জায়গায় চা বাগানে কাজ বন্ধ ছিল এদিন। সোমবার গোরুবাথানের বাজারে সাপ্তাহিক হাট। জেলার সর্ববৃহৎ হাট বন্ধ ছিল।
পাহাড়ের জায়গায় জায়গায় পিকেটিং করতে দেখা গিয়েছে বন্ধ সমর্থকদের। বন্ধ ছিল সমস্ত দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। যানবাহন সংখ্যাও অনেক কম ছিল পাহাড়ে। সকালে কার্শিয়াং-এ পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয় বন্ধ সমর্থকদের। এমনকী, দার্জিলিঙের জনবহুল ম্যাল কার্যত ফাঁকা ছিল দিনভর। যান চলাচল রুখতে রোহিনী টোল গেটে রীতিমতো বড় আকারে পিকেটিং করেন অনেক বন্ধ সমর্থক। পিকেটিং-এ হাজির ছিলেন শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও। যদিও, পাহাড়ে বন্ধ হলেও কালিম্পং-এ খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। বেলা গড়ালে কালিম্পং-এ দোকানপাট খুলতে শুরু করে। স্কুল, কলেজও খোলা ছিল।
এদিকে, চা বাগান শ্রমিকদের এই বন্ধের জেরে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। পাহাড়ে থেকে সমতলে কোনও গাড়ি ওঠানামা না করায় সমস্যায় পড়তে হয়। একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধের কারণে আটকে যায় পর্যটকদের গাড়ি। বেশ কিছু জায়গায় পর্যটকদের বিমান বা ট্রেনের টিকিট দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘বন্ধের কারণে পর্যটকদের সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই এ দিন দার্জিলিং যেতে পারেননি। আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’