• ফরাক্কা থেকে রেকর্ড পরিমাণ জল ছাড়ার সম্ভাবনা, আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের লোকজন
    এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ফুঁসছে গঙ্গা-পদ্মা। রবিবার সারারাত আতঙ্কে কাটালেন তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বহু মানুষ নিরাপদ জায়গাতে সরে গিয়েছিলেন। ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে এখনও পর্যন্ত জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। ফলে কিছুটা স্বস্তিতে তাঁরা।সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্যারেজ থেকে ১৬.৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে গঙ্গা বা পদ্মার জলস্তর এখনও বাড়েনি। জঙ্গিপুর মহকুমা সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং বলেন, 'সোমবার নতুন করে আর জলস্তর বাড়েনি। বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে জল। তবে নতুন করে যদি জল ছাড়া হয় সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে।'

    উচ্চ অববাহিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে জল আসায় ফরাক্কা ব্যারেজের জল ধারণ ক্ষমতা বিপদসীমার উপর দিকেই যাচ্ছিল। সমস্ত গেট আংশিক খুলে ১৬.৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে, নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

    সেই বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও দুই জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সমস্ত ব্লক প্রশাসনকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করছে ব্লক প্রশাসন। জেলা প্রশাসন নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করছে। বিপদের সম্ভাবনা থাকা অংশ থেকে মানুষজনকে সরানোর জন্য প্রচার শুরু করা হয়েছে। আটটি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। নদীতে নামতে নিষেধ করার জন্য করা হচ্ছে মাইকিংও।

    ফরাক্কা, সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ, লালগোলা, রানিনগর, জলঙ্গি ব্লকের গঙ্গা ও পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা রবিবার থেকেই আতঙ্কে ছিলেন। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। জলস্তরও বাড়েনি। ফলে কিছুটা স্বস্তিতে তারা।

    ফরাক্কা ব্যারেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ১৯.৯ লক্ষ কিউসেক করা হতে পারে। তবে এখনও তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ১৯.৯ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলে জেলার আটটি ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যদিও প্রশাসন সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানাচ্ছে জেলার শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা।
  • Link to this news (এই সময়)