• সাগর দত্ত হাসপাতালে এবার থেকে চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম, প্রবেশ করতে মানতে হবে বিধি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর পরিবারের হাতে নিগ্রহ হয়েছিলেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। নিরাপত্তার দাবিতে এখনও চলছে কর্মবিরতি। এই আবহে এবার প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিয়ম বদল করছে সাগর দত্ত হাসপাতাল। যে সব গাড়ি সাগর দত্ত হাসপাতালে ঢুকবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট ‘‌পাস স্টিকার’‌ ইস্যু করা হবে। এই ‘‌পাস স্টিকার’‌ ছাড়া আগামীদিনে কোনওভাবেই বাইরে থেকে আসা গাড়ি সাগর দত্ত হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ‘‌রেজিস্ট্রার বুক’‌ মেনটেইন করতে হবে। হাসপাতালে আসা প্রত্যেকের ঢোকা–বেরনোর সময় নথিভুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই সাগর দত্ত হাসপাতালের বাইরে পুলিশ আউটপোস্টে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই হাসপাতালের ভিতরের একাধিক রাস্তায় বসানো হতে চলেছে গার্ডরেল। রাতে হাসপাতালে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিয়ম বদল করা হচ্ছে। রোগী থেকে শুরু করে অন্য যে কোনও ব্যক্তিকে সাগর দত্ত হাসপাতালে রাতে প্রবেশ করতে গেলে কারণ জানাতে হবে। এই হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের টহলদারি নিয়মিত করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অটল আছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।


    গত শুক্রবার সাগর দত্ত হাসপাতালে কর্তব্যরত তিন মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতির পথে নেমেছেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ, সোমবারও সেই কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রবিবার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। আজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করার জন্য হাসপাতালের সমস্ত বিভাগগুলি পরিদর্শন করেন এমএসভিপি সুজয় কুমার মিস্ত্রি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আউট পোস্টের নবনিযুক্ত ওসি।

    এই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতির কথা ভাবতে শুরু করেছেন। তার জেরে রোগী পরিষেবা চরম ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে সুজয় কুমার মিস্ত্রি বলেন, ‘‌সাগর দত্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কিছু রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম অবৈধ প্রবেশ রোখা। আগেই হাসপাতালে ২৪৪টি সিসিটিভি ছিল। তার মধ্যে দু’‌একটি ছাড়া সবগুলিই সচল। আরও ৩২০টি সিসিটিভি বসানো হবে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সিসিটিভি লাগানোর কাজ। রোগীর সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে একবার একজনকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। পাস ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। অতিরিক্ত কাউকে যাতে পাস না দেওয়া হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীদের।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)