দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার মিঠুন চক্রবর্তীকে। অনেকেই বলছেন দাদা ছিলেন এতদিন। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল সাহেব। তবে এই প্রাপ্তিতে গর্বিত বাংলা। এদিকে মিঠুন চক্রবর্তী একদিকে যেমন অভিনেতা। তেমনি মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি নেতাও। একটা সময় তিনি তৃণমূলের ঘরের লোক ছিলেন। বর্তমানে সেই মিঠুনই বিজেপিতে। এদিকে মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পরে অভিনন্দন জানিয়েও পুরনো কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লিখেছেন, মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে। শিল্পী মিঠুনদাকে অভিনন্দন। শুধু অনুরোধ দীর্ঘ অপেক্ষার পর আপনাদের পদ্মশ্রী দিতে প্রণব মুখোপাধ্য়ায়ের চিঠি ও চেষ্টার দিনগুলো এবং সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপনাকে স্বীকৃতি দিয়ে রাজ্যসভায় পাঠানোটা ভুলে যাবেন না। কার্যত মিঠুন চক্রবর্তীকে অতীত মনে করিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের পরে নানা জনে নানা কথা বলছেন। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন সিনেমায় তার অবদানের জন্য। আমরা রাজনীতিক হিসাবে তাকে পছন্দ করি বা না করি পুরস্কারটা তিনি তার অভিনয়ের জন্য পেলেন। আর সেটিং করে যদি সব হত তবে কঙ্গনা, হেমা মালিনী কবেই দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার ম্যানেজ করতেন। সব কিছু ম্যানেজ হয় না।
অপর একজন লিখেছেন, উনি কিছুই ভুলে যাননি। মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় থাকতেও নচিকেতা কে মহানায়ক সম্মান। সোহমকে মহানায়ক সম্মান। এগুলো ভুলে যাওয়ার নয়। তাই আপনারা দ্বিচারিতা করতে পারেন কিন্তু অন্যরা করেনি এটা আপনারা মনে রাখবেন।
অপর একজন লিখেছেন আগের পোস্টে চটি…হয়নি, তাই বোধ হয় হেব্বি ঝাড় খেয়েছে…
অপর একজন কুণালকে পালটা খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, আপনাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে না। এটাও আমরা ভুলছি না ভুলব না।
মিঠুন চক্রবর্তী এই পুরস্কারকে ঘিরে তাঁর খুশির কথা চেপে রাখেননি। তিনি সংবাদসংস্থা ANI কে জানিয়েছেন, তিনি ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না বলার মতো। বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। এত বড় সম্মান পেয়ে তিনি না পারছেন হাসতে। না পারছেন কাঁদতে। এই পুরস্কার তিনি তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের উৎসর্গ করেছেন।
এদিকে মিঠুনের বহু অনুরাগী রয়েছেন দেশে বিদেশে। মিঠুনের এই পুরস্কারপ্রাপ্তিকে ঘিরে খুশির জোয়ারে ভাসছেন তারা। তবে কুণাল ঘোষ অভিনন্দন জানিয়েও কার্যত পুরনো কথা মনে করালেন।