সন্দীপকে হেফাজতে নিতে চেয়েও পিছিয়ে এল সিবিআই, কারণটা কী?
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এদিকে সেই সন্দীপকে ফের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল সিবিআই। তারা দাবি করেছিল কিছু নতুন তথ্য় তাদের কাছে এসেছে। সেকারণে তারা ফের সন্দীপকে হেফাজতে নিতে চায়। এদিকে বিচারকের তরফে প্রশ্ন করা হয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তো সন্দীপকে জেলে গিয়েও জেরা করতে পারে। সেটা কেন করতে পারবে না সিবিআই? এই প্রশ্ন শুনেই আর নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়নি সিবিআই। এরপরই সেই দাবি তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে সন্দীপের আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয় এর আগেও সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
এদিকে বিচারক প্রশ্ন তোলেন, আপনারা আবার পুলিশি হেফাজত চাইতে পারেন। কিন্তু জেলে গিয়েও তো প্রশ্ন করা সম্ভব? এরপর সিবিআই বিষয়টি থেকে সরে আসে। এরপর বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিবিআই জেলে গিয়ে জেরা করতে পারে। এব্যাপারে বিবেচনা করা হবে।
সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে সিবিআই প্রয়োজনে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারে। সেই সঙ্গেই সন্দীপ সম্পর্কে একাধিক তথ্য় আসার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে আরজি কর মামলায় শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। গোটা দেশের নজর এই শুনানির দিকে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে সেই শুনানি সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখানো হচ্ছে। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং দেখছেন বহু মানুষ।
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররাও কর্মবিরতি যাওয়ার জন্য ডেডলাইন দিয়ে রেখেছেন। সেক্ষেত্রে এবার জুনিয়র ডাক্তাররা টানা কর্মবিরতিতে যান কি না সেটাই দেখার। কার্যত রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে কী বলা হচ্ছে তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে।
সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল ফোনের কথাবার্তাও পেয়েছে সিবিআই।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আর টালা থানার তৎকালীন ওসি বর্তমানে তিনি প্রাক্তন সেই অভিজিৎ মণ্ডলকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করার পর ১১ দিন ধরে দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করেছিলেন সিবিআই অফিসাররা। তার পর তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই। জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এদিকে সেই সন্দীপকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চেয়েছিল সিবিআই। তবে বিচারপতির বক্তব্য শোনার পরে সেই দাবি থেকে সরে আসে সিবিআই।