সরকারি অনুদান ফেরত নয়, পাড়ায় সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ পুজো কমিটির
এই সময় | ০১ অক্টোবর ২০২৪
পুজোর বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। একদিকে, উৎসবের প্রস্তুতি চলছে পুজো মণ্ডপগুলিতে। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত। তরুণী চিকিৎসকের হত্যার বিচার এবং নারী সুরক্ষা নিয়ে আন্দোলনে সামিল হচ্ছে মানুষ। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একাধিক পুজো কমিটি সরকারি অনুদান ফেরত দিচ্ছে। তবে, সরকারি অনুদান ফিরিয়ে না দিয়ে নিজেদের এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ মালদার এক পুজো কমিটির।মালদা নেতাজি ক্লাবের অভিনব উদ্যোগ। রাজ্য সরকারের অনুদানের টাকা ফেরত না দিয়ে এলাকার নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার উদ্দেশে এবং নারী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্থায়ীভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন তাঁরা। এই বিষয়ে ক্লাব সম্পাদক অরিন্দম রায় জানান, রাজ্য সরকারের অনুদানের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। সেই জায়গায় আমরা সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। নেতাজি ক্লাব সংলগ্ন এলাকা জুড়ে পাঁচ থেকে ছটি ক্যামেরা বসানো হবে। সিসিটিভি লাগানোর ফলে এলাকা সুরক্ষিত হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
ক্লাবের সদস্য অভিষেক চৌধুরী বলেন, ‘আরজি করের ঘটনার পর নারী সুরক্ষা একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু নারীদের সুরক্ষা কী ভাবে দেওয়া যাবে সেটা কিন্তু বলা হচ্ছে না। সেই চিন্তা ভাবনাকে সামনে রেখেই আমরা নারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে।’ সুরক্ষা বৃদ্ধিতে পুলিশ প্রশাসন যা উদ্যোগ নিচ্ছে, তার পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে এই পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা পুজো কমিটির। সরকারি যে অনুদান পাওয়া যাবে, সেই অর্থের একটি অংশ এই সিসিটিভি লাগানোর কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে পুজো কমিটি।
এলাকা সুরক্ষিত রাখতে এবং নারী নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। দোয়েল চৌধুরী নামে এক মহিলা জানান, নারীদের সুরক্ষার একটি বিষয় থেকেই যায়। বর্তমান যে পরিস্থিতি তারপর আরজি করের ঘটনা। সেই দিক থেকে তাকিয়ে শুধু নেতাজি ক্লাব নয়, প্রত্যেক ক্লাবকে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে একজন নারী হিসেবে আমি মনে করি। ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি ক্লাব প্রতিবারই নতুন কোনও থিমের উপরে পুজোর আয়োজন করে। প্রতিবারই এই ক্লাবের দেবী মূর্তি দর্শন করতে জেলা তথা বাইরের জেলা থেকেও অসংখ্য দর্শনার্থীরা আসেন। এই বছরেও পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।