সমস্ত ক্ষেত্রে কাজে ফেরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে ডাক্তাররা
এই সময় | ০১ অক্টোবর ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শোনার পর ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম শুনানির পরেই রাজ্য জুড়ে ফের পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতিতে যাবেন কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও, সোমবার শুনানিতে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রগুলি-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই বিষয় সিদ্ধান্ত নিতেই সোমবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।বিষয়টি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘হাসপাতালে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে তারিখের পর তারিখ দেওয়া হোক, সেটা আমরা চাইছি না। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করার পর যে বিষয়গুলি নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল, সেগুলি তাড়াতাড়ি হোক, সেটাই আমরা চাইছি।’ এখনও একাধিক হাসাপাতালে কয়েকটি সিসিটিভি লাগানো ছাড়া উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানে এবং ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করার ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আজ সন্ধ্যায় তাঁরা বৈঠকে বসছেন। পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতিতে ফিরে যাবেন কিনা, সেটা জিবি-র বৈঠকে ঠিক করা হবে। প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য জানায়, জুনিয়র ডাক্তারেরা হাসপাতালগুলিতে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন। বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রে পরিষেবা দিচ্ছেন না। ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, ‘এই বক্তব্য ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।’
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘কেন শুধু প্রয়োজনীয় পরিষেবা কথা বলা হচ্ছে? তা হলে কি সব ডাক্তারেরা সব ডিউটি করছেন না?’ পাল্টা ইন্দিরা জানান, প্রয়োজনীয় পরিষেবা মধ্যে বহির্বিভাগের পরিষেবা পড়ে না। তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রগুলি-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা কাজ করবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।’ সুপ্রিম কোর্ট সোমবার নির্দেশ দেয়, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো এবং শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যায়। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর কাজ হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য।