ঘটনাটি ঠিক কী? চিকিত্সকদের নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য। আজ, সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, 'সব হাসপাতালে সিসিটিভি, এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা নিয়ে কী পদক্ষেপ?' জবাবে রাজ্য জানায়, 'আমরা করছি। আরও কিছুটা সময় লাগবে। বন্যার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ২৬ শতাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ১৫ অক্টোবর মধ্যে হয়ে যাবে'।
সুপ্রিম কোর্টের পাল্টা প্রশ্ন, 'কেন এখনও ৫০ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি? কেন কাজে এত ধীরগতি'? এরপর সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়সচিব বলেন, প্রতিশ্রুতিমতো সবকিছুই হবে। এটা মানতেই হবে হাসপাতালে বাথরুম তৈরি থেকে শুরু করে সিসিটিভি লাগানো, রেস্টরুম তৈরি সব কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সবটা শেষ করতে একটু সময় লাগবে। আমরা আশা রাখি জুনিয়র ডাক্তাররা ধৈর্য না হারিয়ে মানুষের জন্য কাজ করবেন'।
এদিকে আরজি করের পর এবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজেও কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, নামমাত্র কাজ হলেও হাসপাতালে অনেক কাজই এখন বাকি। সিসিটিভি বসানোই হোক বা ডাক্তারদের জন্য রেস্টরুম তৈরি, কোনও কাজই সম্পূর্ণ হয়নি। দ্রুত সেই কাজ শেষ না করলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।