রামপুরহাট: ময়দার বস্তার আড়ালে মেঘালয়ে পাচার হচ্ছিল কাশির সিরাপ। যদিও শেষ রক্ষা হলো না। পথেই পার্সেল ভ্যান থেকে ১৩৫ পেটি নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেন্সিডিল বাজেয়াপ্ত করল রামপুরহাট থানার পুলিশ। চালককে আটক করার পাশাপাশি গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রবিবার রাতে রামপুরহাট থানার ঝনঝনিয়া ব্রিজের কাছে, দুমকা-রামপুরহাট রাস্তার উপরে ঘটনাটি ঘটে।উত্তরপ্রদেশ থেকে মাদক বোঝাই পার্সেল ভ্যান শিলংয়ের দিকে যাচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় রামপুরহাট পুলিশ। সেই মতো রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে ঝনঝনিয়া ব্রিজের কাছে পুলিশ গাড়িটি আটক করে। চালক প্রথমে জানান, ভিতরে রয়েছে ময়দার বস্তা। পুলিশ তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রথমে দেখেন যে সত্যিই গাড়িতে ময়দার বস্তাই রয়েছে।
কিন্তু কয়েকটি বস্তা তুলতে গিয়ে বেরিয়ে আসে কয়েকটি ছোট পেটি। সেগুলি খুললে দেখা যায়, তাতে রয়েছে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। এরপরই তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সেগুলি নিয়ে যাওয়ার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি পার্সেল ভ্যানের চালক। এর পরেই আটক করা হয় তাঁকে।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এই কাশির সিরাপ নেশা করার জন্য অনেকে ব্যবহার করে। বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল, পাচারকারীরা নেশার ওষুধ নিয়ে যাওয়ার জন্য দুমকা-রামপুরহাট রাস্তা ব্যবহার করছে। এরপরেই সোর্স লাগানো হয়।’ জানা গিয়েছে, প্রতিটি শিশি ২৫-৩০ টাকায় কিনে ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সীমানায় সিউড়ি থানার পুলিশ নাকা চেকিং করছিল। কেঁদুলি গ্রাম সংলগ্ন এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে একটি লরিকে পালাতে দেখে আটক করে পুলিশ। পরে সেই লরি থেকে ৭৫ পেটি নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় আটক করা হয় লরি চালক ও খালাসিকে। লরির উপরের অংশে ছিল ঠান্ডা পানীয়। তার নীচে ছিল এই নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। লখনউ থেকে ফরাক্কা যাচ্ছিল লরিটি।