• সরকারি হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যুতে প্রশ্ন
    এই সময় | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়, রামপুরহাট ও বালুরঘাট: ফের সরকারি হাসপাতালে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল দুই জেলায়। প্রথম ঘটনা বীরভূমের রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। অন্যটি, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। মৃত্যুর পরে উত্তেজিত রোগীর আত্মীয়রা নার্স এবং চিকিৎসকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    রবিবার রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা কল্যাণী প্রামাণিক (৪৯) কে। সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিসিইউতে রেফার করেন চিকিৎসক। কিন্তু ফিমেল ওয়ার্ড থেকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। হঠাৎ রোগীর চরম শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলার মৃত্যু হয়। এরপরেই হাসপাতালের নার্সদের ঘিরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।মৃতার ছেলে তারাপদ প্রামাণিক বলেন, ‘আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে আমি রাস্তায় নেমে বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে এসে দেখছি চিকিৎসকদের অন্যরূপ। শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে মায়ের মৃত্যু হলো। আমিও মায়ের মৃত্যুর বিচার চাই।’

    হাসপাতালের নার্স আসিয়া খাতুন বলেন, ‘চিকিৎসক লিখে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সিসিইউতে বেড না থাকলে আমাদের কিছুই করার নেই। বেড পাওয়ার আগেই রোগিণীর মৃত্যু হয়। এরপরেই মৃতার আত্মীয়স্বজন আমাদের ঘিরে গালিগালাজ শুরু করেন।’ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    অন্যদিকে, রক্তাল্পতার কারণে অসুস্থ অবস্থায় শনিবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন দুলাল সরকার (৫৫)। দু’বোতল রক্ত দেওয়া হয় তাঁকে। সোমবার সকালে পেটের ছবি তোলার জন্য রবিবার রাতে তাঁকে কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। ভোররাতে পেটে ব্যথা ওঠে তাঁর। এ দিন দুপুরে মারা যান। এরপরেই অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়রা। বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    মৃতের পুত্রবধূ পূজা সরকার বলেন, ‘এক্স-রে করার জন্য রাত থেকে খালি পেটে থাকতে বলেছিলেন নার্স। অথচ, ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশনে তা না লেখায় ছবি তোলা যায়নি। ভোররাতে পেটে ব্যথা ওঠে। দুপুরে মারা যান। চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা।’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ‘চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
  • Link to this news (এই সময়)