রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল। স্বয়ং কলেজের অধ্যক্ষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়ল স্বাস্থ্য ভবন।রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন তথা অধুনা রাজ্যের যুগ্ম স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌশিক কর, রামপুরহাট মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করবী বড়াল এবং ওই মেডিক্যাল কলেজেরই অ্যানাটমি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বরূপ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজেরই ৫১ জন পড়ুয়ার সই সম্বলিত একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে। সেই অভিযোগপত্র জমা পড়ার একদিনের মধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মোট ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মাথায় রাখা হয়েছে একজন অ্যাডিশনাল ডিএইচএস পদমর্যাদার স্বাস্থ্য আধিকারিককে। এছাড়াও ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন আরও চার জন অধ্যক্ষ। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ‘থ্রেট কালচার’ অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এই কমিটি। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে দ্রুত তদন্ত করে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে অনার্স পাওয়া, পরীক্ষায় বেশি নম্বর এবং পরীক্ষার হলে কে কোথায় বসবে, সেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হতো। তাঁদের অসিযোগ, দুর্নীতির মদতদাতা ছিলেন অধ্যক্ষ, প্রাক্তন ডিন ও সহকারী অধ্য়াপক। যদিও, অধ্যক্ষ করবী বড়াল ও সহকারী অধ্য়াপক স্বরূপ সাহা সমস্ত অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, যদি স্বাস্থ্য ভবন যদি তাঁদের কাছে কোনও তথ্য চাওয়া হয় তাঁরা সেই তথ্য দিতে প্রস্তুত।