সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। একদিকে, সরকারি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের হাসপাতালগুলোতে সব ক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম শুনানির পর কী বললেন নির্যাতিতার মা-বাবা?সোমবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমরা সবসময় সুপ্রিম কোর্ট এবং সিবিআই এর তদন্তের উপর ভরসা রাখছি। আমরা আশা করছি কিছু একটা হবে।' তবে, রাজ্য সরকারকে সরকারি হাসপাতালে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে আর্জি জানান তিনি। তাঁর কথায়, 'এরকম ঘটনা বারবার ঘটলে তবেই কি সরকারের হুঁশ ফিরবে?’
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে এগুলো করা উচিৎ। আমার মেয়ের সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও পরপর ২/৩ দিনে এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটাও খুবই দুঃখজনক। ছাত্ররা একদিকে পরিষেবা দিচ্ছে, আবার পড়াশোনা করছে সুতরাং সরকারের উচিৎ তাঁদের দিকে নজর দেওয়া।’
সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো এবং শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যায়। যদিও, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলে পুরো কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা যে ইস্যুতে কর্মবিরতি ঘোষণা করছে বা করতে চাইছে, সেটা কি কোনও অন্যায়? আজকে আমার মেয়েটার সঙ্গে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনওদিন এরকম ঘটনা না ঘটে, তা সুনিশ্চিত করতেই তাঁদের এই আন্দোলন।' আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে যারা হত্যা করেছে, তারা এখনও বুক চিতিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাফেরা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা।