আরজি কর কাণ্ডে সোমবার ছিল সুপ্রিম কোর্টে আরও এক শুনানির দিন। মামলায় এদিন একের পর এক পর্ব উঠে আসে। সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্ট প্রধানবিচারপতি পড়তেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্যাতিতার দেহের কাছে উদ্ধার চশমা নিয়ে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, চশমার জন্য নির্যাতিতার ক্ষত বেশি ছিল। চশমা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানবিচারপতি। সিবিআই তদন্ত নিয়েও মন্তব্য করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এখানেই শেষ নয়। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানতে চান, নিরাপত্তার প্রক্রিয়ায় সিসিটিভি লাগানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? তার উত্তর শুনে কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
এদিন কোর্টের শুনানিতে সওয়াল জবাব পর্বের মাঝে সিবিআই তার তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতেই প্রধান বিচারপতি মন্তব্যে বলেন,'সিবিআইয়ের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লিডস উঠে এসেছে। সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাক।' এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সিসিটিভি ক্যামেরা, শৌচালয় তৈরি, মহিলা ও পুরুষদের জন্য ডিউটি রুম, বায়োমেট্রিক্স ইত্যাদি নিয়ে কী পদক্ষেপ করেছে? জবাবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন,'কিছুটা দেরি হচ্ছে বন্যার জন্য, ৬১৭৮টি হয়ে গিয়েছে.. ২২ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে।' আইনজীবীর বক্তব্য শুনেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়া এত মন্থর কেন? কোনও জায়গাতেই তো ৫০ শতাংশ কাজ হয়নি।’ জবাবে দ্বিবেদী বলেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। সেকথা শুনেই প্রধান বিচারপতি সাফ জানান, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়। রাজ্য জানায়, আরজি কর হাসপাতালে ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরে কাজ থমকে রয়েছে, সেক্ষেত্রে সিবিআই ছাড়পত্র দিলে কাজ শুরু হবে। একথা শুনেই সিবিআইয়ের তরফে পাল্টা আইনজীবী জানান, ঘটনার পর ৫ দিন কাজ হয়েছে, আর এখন আমাদের আপত্তি থাকবে কেন?
এদিকে, আরজি কর মামলায় এদিন প্রভাবশালী তত্ত্বও উঠে আসে। জুনিয়র জাক্তারদের তরফের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং আর্জি জানান, তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের ৭ দনকে আপাতত সাসপেন্ড যাতে করা হয়। তিবি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এঁরা প্রভাব খাটাতে পারেন বলে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, কারা তদন্তের আওতায়? তাঁদের নামের তালিকা সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়ার কথা বলা হয়।