নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: মহালয়ার দিন থেকেই বীরভূমে শুরু হয়ে যাবে দুর্গোৎসব। মুখ্যমন্ত্রী ওইদিনই ভার্চুয়ালি জেলার বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করতে চলেছেন। প্রাথমিকভাবে খবর, জেলায় ১৫টি পুজো তিনি এভাবে উদ্বোধন করবেন। সেকারণে মহালয়া থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য ওই সমস্ত মণ্ডপের গেট খুলে দেওয়া হবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মহালয়ার পরদিন থেকেই রাস্তায় রাস্তায় দর্শনার্থীদের ভিড় থাকবে বলে পুজো উদ্যোক্তারা মনে করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী কোন কোন পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন, তার তালিকা তৈরির জন্য পুলিস ও প্রশাসন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে রাখছে। সেইমতো মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমার সমস্ত কাজ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, সেজন্য পুজো কমিটির কর্মকর্তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। রাজনগরের একটি, সিউড়ির অন্তত চারটি পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের তালিকায় থাকছে। প্রতিমা তৈরির জন্য মৃৎশিল্পীরা রাত জেগে কাজ করছেন। তাঁরা জানালেন, কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে কাজের গতি একেবারেই শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। এখন দিনরাত এক করে কাজ চলছে। থিমের পুজোগুলির কাজ ৬০-৭০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। সেখানে এখন মণ্ডপের ভিতর কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনেও বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। তাই কেউ কাজ ফেলে রাখতে চাইছেন না।
সিউড়ির একটি পুজো কমিটির কর্মকর্তা শান্তনু দাস বলেন, থিমের কাজ শেষের দিকে। এখন উপরের কারুকার্য ও সাজসজ্জা চলছে। যেহেতু এবার আমাদের প্রতিমায় জাঁকজমক থাকছে, তাই একটু সময় লাগছে। পঞ্চমী থেকে আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি, অনেকেই চতুর্থীর দিনই মণ্ডপে ঘুরে যান। তাই কাজ শেষ হলেই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে।
মহালয়ার আগে বিভিন্ন দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশিরভাগ মানুষের পুজোর জামাকাপড় কেনা হয়ে গিয়েছে। এখন তাঁদেরই কেউ কেউ কেনা পোশাক পাল্টাতে আসছেন। তার বদলে ম্যাচিং পোশাক নিয়ে যাচ্ছেন। পুজোর আগে ফুটপাতে অনেক দোকান বসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে শপিংমলের সামনে ঠেলাগাড়িতে অনেকেই দোকান বসাচ্ছেন। যেমন, সিউড়ির বাসস্ট্যান্ড ও জেলগেট যাওয়ার মাঝের রাস্তার অনেক খাবার দোকান বসেছে। সেখানে ফুচকা থেকে শুরু করে নানারকম ফাস্ট ফুড পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কেনাকাটায় বেরিয়ে সেখানে খাওয়াদাওয়া সেরে নিচ্ছেন অনেকেই। -নিজস্ব চিত্র