• জলজীবনের পাইপ বসলেও পরিষেবা নেই, জেলাশাসকের দ্বারস্থ রতনপুরের বাসিন্দা
    বর্তমান | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: জলজীবন প্রকল্পে পাইপলাইন বসেছে। অথচ পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর মৌজার কয়েকটি গ্রামে। টিউবওয়েলের জলেও আয়রণ। বাধ্য হয়ে সেই জলই খেতে হচ্ছে এলাকার প্রায় পাঁচহাজার মানুষকে। জল পরিষেবায় এই অভিযোগ নিয়ে সোমবার জেলাশাসক ও জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের দ্বারস্থ হলেন রতনপুর মৌজার বাসিন্দারা।


    কয়েক বছর আগে বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর মৌজায় পাইপলাইন বসায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। একটা সময়ে পানীয় জলও মিলছিল। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে সেই কলগুলো থেকে আর জল মেলে না। জল না পেয়ে হতাশ এলাকার বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে পুরোনো পন্থায় টিউবয়েলের আয়রনযুক্ত জলই খেতে হচ্ছে তাঁদের। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর অন্তরার পঞ্চায়েত সদস্য হাসিবুল হকের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার উদ্দেশ্যে জলজীবন মিশনের কাজ চলছে। কিন্তু, রতনপুর মৌজার অন্তত ৫ হাজার মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন না। বাড়িতে বসানো ব্যক্তিগত টিউবয়েলের জলই মানুষের ভরসা। এলাকার কংগ্রেস নেতা মনসুর আলির বক্তব্য, পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এলাকায় যে জল সকলে ব্যবহার করছেন, তাতে আয়রণ রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে জলজীবন প্রকল্পের জন্য বিন্দোলে একটি রিজার্ভার তৈরি হয়েছে। সেই রিজার্ভার থেকে যেভাবে পাইপ বসেছে, তাতে রতনপুর মৌজার দূরত্ব ৫ কিমি। যার জেরেই জল পৌঁছচ্ছে না। তাই সমস্যা নিরসনে এলাকাবাসীকে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তর ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরে একটি স্মারকলিপি দিলাম। সমস্যার কথা জানালাম। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মীনা বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের দেখভাল করার কথা। আমরা বিভিন্ন সময়ে সেই কাজের মনিটরিং করে থাকি। কোনও সমস্যা থাকলে নিশ্চিতভাবে বিষয়টি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর দেখবে। এই ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, বিন্দোল এলাকার ওই কাজ অনেক পুরোনো। ওই এলাকায় যে সময় পিএইচই কাজ করেছিল, সেটায় রাস্তার মোড় পর্যন্ত জল দেওয়ার কথা ছিল। পরে প্রকল্পটির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেমতো প্রকল্প হয়েছে। এখনও কাজ হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি গ্রামে জল ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না। ধানখেতের মাঝ দিয়ে পাইপলাইন গিয়েছে। সেখান থেকে অবৈধভাবে খেতে জল নেওয়া হচ্ছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ফলে গ্রামে পর্যাপ্ত জল পৌঁছচ্ছে না। অভিযোগ খতিয়ে দেখে সার্বিকভাবে ওই এলাকার জল সমস্যা কাটাতে উদ্যোগী হচ্ছি। 


     পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন এলাকাবাসীরা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)