সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরে এখন হাতেগোনা দুই থেকে তিনটি দোকেনে রেডিও বিক্রি হয়। পুরনো রেডিও সারাইও হয়। স্মার্টফোনের জমানায় রেডিওতে অনেকে মহালয়া শুনতে পছন্দ করেন। তাই রেডিও’র নস্টালজিয়ার মানুষের ভিড় এখন রেডিও সারাইয়ের দোকানগুলিতে।
সোমবারই কথা হচ্ছিল শহরের রায়কতপাড়ার একটি দোকানের মালিক ভজন দত্তের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর দোকান থেকে সারাবছর কমবেশি রেডিও বিক্রি হয়। তবে মহালয়ার আগে বিক্রির পরিমাণ কিছুটা বাড়ে। কিন্তু রেডিও সারাইয়ের চাহিদা তার থেকেও বেশি। এবারও প্রচুর রেডিও সারাইয়ের কাজ এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই সারাদিন কাজ করতে হচ্ছে। ভজনবাবু বলেন, সারা বছর না হলেও মহালয়ার দিন ভোরে অধিকাংশ মানুষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে ভোলেন না। যে কারণে বাঙালির ঘরে এখনও রেডিও আছে।
শহরের দিনবাজার এলাকার এক রেডিও দোকানের মালিক করুণাকান্ত দত্ত বলেন, রেডিও শোনার ক্রেজ অনেকটা কমলেও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র যে ইতিহাস তৈরি করে গিয়েছেন, সেটা আজও বাঙালির মনে গেঁথে আছে। তাই গত এক সপ্তাহ ধরে অনেকেই বাড়ির পুরেনো রেডিও সারাই করতে আনছেন।
রায়কতপাড়ার রেডিওর দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন শহরের সেনপাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব তাপস গোস্বামী। তিনি বলেন, সারা বছর রেডিও না শুনলেও মহালয়ার ভোরে এই অনুষ্ঠান এখনও শুনি। কেবল তাই নয়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ভোরে রেডিওর সামনে বসেন। কলেজপাড়ার বাসিন্দা দীপক সরকার বলেন, দীর্ঘ বছর থেকেই এই অনুষ্ঠান শুনে আসছি। কিন্তু প্রতি বছর মহালয়ার ভোরে রেডিও শোনাটা একটা অভ্যাস। স্মার্টফোন সেটার বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি। নিজস্ব চিত্র