দুঃসময়ে দেখা নেই বিধায়ক শ্রীরূপার ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহদিপুরের মহিলাদের
বর্তমান | ০১ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: নামেই জনপ্রতিনিধি। অথচ বিপর্যস্ত জনগণের পাশে বিধায়ক নেই! দীর্ঘদিন তাঁর দেখা না পেয়ে ইংলিশবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্রের বিরুদ্ধে ধিকি ধিকি ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল। সেটাই সোমবার বিস্ফোরণের আকার নিল।
নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়ায় বৃষ্টির জমা জলে কার্যত গৃহবন্দি ইংলিশবাজারের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মহিলারা। অভিযোগ, ভোটের সময় তিনি ঠিক চলে আসেন। কিন্তু ভোট মিটলেই এলাকায় টিকি দেখা যায় না।
যদিও বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধায়ক শ্রীরূপা। তাঁর মন্তব্য, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি মহদিপুরের মানুষ। শুনেছি তিনি খুব সক্রিয়। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত এলাকায় জল জমে যাচ্ছে। এর দায়িত্ব তো তাঁকেই নিতে হবে।
মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁসিমাড়ির একে গোপালন কলোনির একটা বুথ বেশকিছুদিন ধরেই জলমগ্ন। পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থার অভাবেই বৃষ্টির জল আটকে এই সমস্যা হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থার কাজ করবে কে? স্থানীয় মহিলাদের দাবি, বিজেপির বিধায়ককে আমরা নির্বাচিত করেছি। তাঁকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
জমা জলে গৃহবন্দি স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতি ঘোষের অভিযোগ, কয়েক মাস হল জল জমে আছে। এলাকায় ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সাপ, পোকামাকড় বেড়েছে। জলে নামলেই চুলকানি হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক ভোটের সময় এসে ভোট নিয়ে চলে যান। তারপর তাঁকে আর দেখা যায় না। আরেক গ্রামবাসী সন্ধ্যা ঘোষের দাবি, আমাদের সমস্যায় বিধায়ককে দেখা যায় না। উনি এলেই বিক্ষোভ দেখানো হবে।
বিজেপির দাবি, মহদিপুর থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি রয়েছেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন না করে সভাধিপতির কাছে যেতে হবে বাসিন্দাদের। অবশ্য এখানে বিধায়কের বিশেষ কিছু করার নেই।
শ্রীরূপা আরও বলেন, পঞ্চায়েত এলাকায় জল জমছে। এখানে বিধায়কের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জেলা পরিষদের সভাধিপতির ভূমিকা। সভাধিপতি এই এলাকারই মানুষ। কাজেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে খুব একটা লাভ হবে না।
সভাধিপতি লিপিকা বর্মনের পাল্টা দাবি, বর্ষায় মালদহ জেলার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি, অথচ বিজেপি বিধায়ককে একদিনও মাঠে, ময়দানে দেখা গেল না। সভাধিপতি তাঁর কাজ ঠিকই করছেন। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক তাঁর তহবিলের টাকা কোথায় খরচ করছেন? নিজস্ব চিত্র।