সোমবার সকালে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের কর্মী, সমর্থকরা মেহেন্দিপাড়া ৫১২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তিরধনুক ও মাদল নিয়ে জাতীয় সড়কে বসে সেঙ্গেল অভিযানের দুই সদস্যের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। দুই অভিযুক্তকে সোমবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। হরিরামপুর থানার পুলিস ও গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। অফিস টাইমে প্রায় চারঘণ্টা সড়ক অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। দীপাঞ্জন বলেন, বনধের দিন সরকারি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে হরিরামপুর থানার পুলিস। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
গত আগস্টের ২৯ তারিখ বংশীহারির বিষহরিডাঙ্গা এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর আদিবাসী সংগঠন জেলা ধর্মঘটের ডাক দিলেও পরে প্রত্যাহার করে। সেদিন সকালে বন্ধ সমর্থকরা মেহেন্দিপাড়া এলাকায় একটি সরকারি বাসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। তদন্তে নেমে রবিবার রাতে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবি জানিয়েছে সেঙ্গেল অভিযান।
সংগঠনরে জেলা পরগনা বিক্রম মুর্মু বলেন, অন্যায়ভাবে পুলিস বাস ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। কোনও প্রমাণ আমাদের দেখতে পারেনি থানা। দু’জনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। না হলে পুলিসের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটব।