চাহিদা মেটাতে উত্তরবঙ্গের হিমঘরে মজুত পাঁচ লক্ষ পদ্ম
বর্তমান | ০১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, হবিবপুর: পদ্মফুলের জোগান নিয়ে সমস্যা হতে পারে আন্দাজ করেছিলেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফলে দুর্গাপুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সহ পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে পদ্ম ফুল সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন। বিস্তীর্ণ এলাকার চাহিদা মেটাতে প্রায় পাঁচ লক্ষ ফুল হিমঘরে মজুত করে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা।
মালদহ কোল্ড স্টোরেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত বিপুল চাহিদা মেটাতে প্রায় পাঁচ লক্ষ পদ্মফুল হিমঘরে মজুত করেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফলে যোগান নিয়ে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
উত্তর মালদহের হবিবপুর, বামনগোলা, গাজোল সহ অন্যান্য ব্লকে পুকুরগুলিতে প্রচুর পদ্ম চাষ হত। এবছর অনেক জায়গায় চাষ হয়নি বলে যোগান নিয়ে আশঙ্কা ছিল।
হবিবপুর ব্লকের তিলাসন এলাকার পদ্মফুল চাষি পাণ্ডব ঘোষ জানান, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরে পদ্মপাতা হয়নি। তাছাড়া আগের তুলনায় এখন পদ্ম চাষ কমে গিয়েছে। সম্ভবত এবছর বাজারে পদ্মফুলের ঘাটতি থাকবে।
পদ্মফুল ব্যবসায়ীর শ্যামল দাসের কথায়, জেলাজুড়ে পদ্মচাষ অন্যবারের তুলনায় অনেক কম। তাই বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও পদ্মফুল নিয়ে আসা হয়েছে। খরচ বেড়েছে বলে দাম এবার কিছুটা বেশি হবে। ২০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হতে পারে পদ্ম।
অন্যান্য বছর দুর্গাপুজোর সময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পদ্মফুল জোগান দেওয়ার পরেও চাহিদা মেটাতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করা হতো। তবে এবছর দক্ষিণবঙ্গে বেশকিছু এলাকায় বন্যার কারণে পদ্ম চাষে ঘাটতি রয়েছে।
হবিবপুরের সাথী মণ্ডল বললেন, দুর্গাপুজো করতে গেলে ১০৮টি ফুল লাগবেই। সুতরাং একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও কিনতে হবে।