• বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের লাগাতার ফ্লপ শো ঘিরে উৎকণ্ঠায় গেরুয়া শিবির
    বর্তমান | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জমছে না পার্টির জমায়েত। রাজ্য সভাপতি থেকে বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি সত্ত্বেও দলের পর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি সুপার ফ্লপ। দেশ-দুনিয়া কাঁপানো আর জি কর কাণ্ডের লাভের গুড় খেতে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। সব মিলিয়ে চরম রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা রয়েছে, তবু পদ্ম শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনমানসে। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, দুর্নীতি-কেলেঙ্কারির পীঠস্থান হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। তারপরও এই ধরনের পাবলিক ইস্যু নিয়ে গত বিধানসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি সুকান্ত মজুমদাররা। আর জি করের মতো ভয়ানক ঘটনায় পথে নামতে দেরি করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। দিল্লির ওই নেতার মূল্যায়ন, ফাঁকা মাঠ পেয়ে কার্যত ‘গোল’ করে গিয়েছে বামপন্থীরা কিংবা অতিবাম কিছু সংগঠন। উল্টে পরে লোক দেখানো ‘পাশে থাকার বার্তা’ দিতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তাড়া খেয়েছেন অগ্নিমিত্রার মতো পদাধিকারীরা। ঘটনাটি সার্বিকভাবেই রাজ্য নেতাদের দক্ষতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দাবি ওই কেন্দ্রীয় নেতার।


    এই প্রসঙ্গে রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা পার্টির ধর্না অবস্থানে লোক জোগাড় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছিল নেতৃত্বের। নেতা-নেত্রীরা মঞ্চে বসার জন্য রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করতেন। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য শোনার লোক তেমন পাওয়া যেত না। পথচলতি মানুষের আগ্রহ চোখে পড়েনি। অথচ প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া, জল, বিদ্যুৎসহ যাবতীয় বিল বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ধর্মতলায় অবস্থানের শেষদিনে লজ্জা ঢাকার জায়গা মিলছিল না। কারণ, হাতে গোনা কয়েকজনকে ধরেবেঁধে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয়েছিল। একইভাবে গতসপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। হাজরা মোড়ে গেরুয়া মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বিরোধী দলনেতা-সহ একগুচ্ছ মাতব্বর। সেখানেও খালি ছিল দর্শক-শ্রোতার আসন। অথচ ওই মিটিংয়ে ৩০ হাজার লোক আনার লম্বা-চওড়া ফিরিস্তি প্রস্তুতি বৈঠকে দিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই রাজ্য নেতা। কিন্তু যতীন দাস মেট্রো স্টেশনের সামনের জমায়েতে শ’দুই মানুষও একসঙ্গে চোখে পড়েনি, দাবি ওই নেতার। কিন্তু সেদিনও কয়েক লক্ষ টাকা বিল জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই কার্যত শীতঘুমে ঢলে পড়েছে বিজেপির বঙ্গ ইউনিট। 
  • Link to this news (বর্তমান)