• বকখালি-মৌসুনি, পুজোয় বুকিং কম, হতাশার ছবি হোটেলে
    বর্তমান | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুজোর মুখে বুকিং কম। ফলে হতাশ বকখালি এবং মৌসুনি পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, এবছর পুজোয় সেভাবে হোটেল রুম বুক হয়নি। বরং এখন ডিসেম্বরের জন্য ঘর বুক বেশি হচ্ছে। ফলে পুজোয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে লাল কাঁকড়া বিচ বা লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকতকে নতুন ডেস্টিনেশন হিসেবে তুলে ধরছেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না পর্যটকদের বড় অংশ। মৌসুনি দ্বীপেরও প্রায় একই হাল। ক্যাম্প মালিকরা নতুন করে সাজিয়েছেন তাঁবু। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতিও করেছেন। কিন্তু বুকিংয়ের হার খুব কম বলে রীতিমতো আশাহত। 


    বকখালিতে কম বেশি প্রায় দেড়শ হোটেল। সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার রুম। হোটেলের মালিকরা বললেন, মাত্র ১৫ শতাংশ ঘর বুক হয়েছে। মৌসুনিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টির মতো কটেজ ক্যাম্প। 


    এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ জায়গাই বুক হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বকখালি হোটেল মালিকদের সংগঠনের দেবরাজ জানা বলেন, ‘প্রতিটি হোটেলে পুজোর দিনগুলিতে তিন থেকে চারটি করে ঘর বুক হয়েছে। গতবার এর থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। সাধারণত দশমী থেকে দ্বাদশীর মধ্যে বেশি বুক হয়। এবার সেটাও এখনও পর্যন্ত হয়নি।’ 


    কেন এবার পরিস্থিতি এরকম? বকখালি এবং মৌসুনির হোটেল ও কটেজ মালিকদের দাবি, চারদিকে অস্থিরতা চলছে। রাজ্যের এক প্রান্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। এসব প্রভাব ফেলেছে। অনেকে এই পরিস্থিতিতে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ। সে কারণেই বুকিং এবার সেভাবে হয়নি। তবে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, নভেম্বর মাস পড়ার পর বুকিংয়ের হার প্রায় ৭০ শতাংশ হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)