• উধাও মাথা, গঙ্গায় উদ্ধার হালিশহরের শিশুর মৃতদেহ
    বর্তমান | ০১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া ১০ বছরের ছেলের দেহ মিলল চারদিন পর। কিন্তু সেই ছেলের দেহ থেকে মুণ্ড প্রায় উধাও। যেন কেউ খুবলে খেয়ে নিয়েছে। পোশাক দেখে দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়। 


    জানা গিয়েছে, গত বুধবার ছিল অবাঙালিদের সন্তানের মঙ্গল কামনায় পুজো, জিউতিয়া। সেদিন নিজের ছেলের মঙ্গল কামনায় পুত্র ওমকে নিয়ে হালিশহরে গঙ্গার সাধুঘাটে পুজো দিতে গিয়েছিলেন গীতা চৌধুরী। গঙ্গায় একটি ঘুড়ি উড়ে এসে পড়তেই ওম সেটি ধরতে যায় এবং গঙ্গার স্রোতে সে ভেসে যায়। রবিবার ওমের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে মর্মান্তিক ঘটনা হল, ওই শিশুর কার্যত মাথাই ছিল না। মাথার অনেকটা অংশই মাছে খেয়ে নিয়েছে। চোখ, নাক খোবলানো ছিল। কার্যত চোখ, নাক কিছুই ছিলই না। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় খুবলে নেওয়ার দাগ। পরনের জামা কাপড় দেখে পরিবারের লোকেরা তাকে চিহ্নিত করেন। পুলিস তথা স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, গঙ্গার মাছ শিশুটিকে খুবলে খেয়েছে।


    ছেলে হারানোর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন হালিশহরের লালকুঠি এলাকার বাসিন্দা গীতা। ছেলের মাছের খোবলানো দেহ উদ্ধারের কথা শুনে একেবারে ভেঙে পড়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ। বাকরুদ্ধ ওমের বাবা সরোজ চৌধুরীও। তিনি একটি মিলে কাজ করেন।


    বুধবার ওমের তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আসে হালিশহর থানার পুলিস। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে গঙ্গায় আসেন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ। তিনি পুরসভার কর্মীদের নিয়ে গঙ্গায় তল্লাশি চালান। শেষপর্যন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেল ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়। চেয়ারম্যান জানান, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। জোয়ার ভাটায় বাচ্চাটি কলকাতার দিকে চলে গিয়েছিল। বাচ্চাটির কার্যত মাথা ছিল না। মাথার পিছনের দিক মাছে খুবলে খেয়েছে। সামনের দিকে নাক, চোখও খোবলানো ছিল। 


    এই ঘটনায় শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে হালিশহরের লালকুঠি এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। 
  • Link to this news (বর্তমান)